মার্শালের ৭৩ আর তাইবুর পারভেজের অপরাজিত অর্ধশতকে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চল নিয়েছে বড় লিড। বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে ফতুল্লায় ৩৮৩ রানে এগিয়ে মধ্যাঞ্চল।
বড় লিডের কাজ আগের দিনই এগিয়ে রেখেছিল মধ্যাঞ্চল। ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল পূর্বাঞ্চল। সপ্তম উইকেটে বেশ প্রতিরোধ গড়েছিলেন ইয়াসির আলি ও আবুল হাসান। দুজনে গড়েন ৭২ রানের জুটি।
তবে এই জুটি ভাঙতেই আর এগোয়নি ইনিংস। ৪৮ রান করে আবু হাসান স্টাম্পড হন শুভাগতর বলে। এক পাশে ইয়াসির অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে। আরেকপাশে ২৫ রানে পূর্বাঞ্চল হারায় শেষ ৪ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চল পায় ১১৭ রানে লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই ওপেনার বেশিক্ষণ না টিকলেও লিড বাড়িয়ে নিয়েছেন মিডল অর্ডাররা। মেহরাব হোসেন জুনিয়রের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েছেন মার্শাল।
একটু রাশ টেনে ধরেন পূর্বাঞ্চলের অনিয়মিত বোলাররা। ৩৮ রান করা মেহরাবকে ফেরান অলক কাপালি। ৮ চারে ৭৩ করা মার্শালকে ফেরান মুমিনুল হক।
বাঁহাতি স্পিনে মুমিনুল এরপর ফেরান শুভাগতকেও। তবে ষষ্ঠ উইকেটে আরেকটি দারুণ জুটি এগিয়ে নেয় মধ্যাঞ্চলকে। তাইবুর ও নুরুল হাসান রান তুলেছেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। দিন শেষে অবিচ্ছন্ন এই জুটির রান ৯৭ বলে ৯৪।
৪৯ বলে ৫৫ রানে দিন শেষ করেছেন বাঁহাতি তাইবুর। ফর্মে থাকা নুরুল অপরাজিত ৩২ রানে।
শেষ দিনের সকালেই নিশ্চিতভাবে ইনিংস ঘোষণা করবে মধ্যাঞ্চল। এরপর পূর্বাঞ্চলের ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩২৮
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৬৭.১ ওভারে ২১১ (আগের দিন ১১৪/৬) (ইয়াসির ৪৮*, আবুল হাসান ৪৮, সাকলাইন ৪, আবু জায়েদ ২, এবাদত ০; রাব্বি ১/৫৭, শরিফ ৪/৫৯, আবু হায়দার ০/১১, শুভাগত ২/৫১, মোশাররফ ২/৩৩)।
মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৬৭ ওভারে ২৬৬/৫ (সাইফ ২, মজিদ ৩৬, মেহরাব ৩৮, মার্শাল ৭৩, শুভাগত ১৯, তাইবুর ৫৫ৎ, নুরুল ৩২*; আবুল হাসান ১/২৯, আবু জায়েদ ০/৪১, এবাদত ১/৩৭, আফিফ ০/৩১, সাকলাইন ০/৩৫, অলখ ১/৪৫, মুমিনুল ২/৪০)।