দুয়ারটা খোলা রেখেছেন নির্বাচকেরাই। স্কিল ফিটনেস পুরোপুরি প্রমাণ করতে পারলে দ্বিতীয় টেস্টের আগে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হবে ইমরুলকে।
বিসিএলের চলতি আর পরের রাউন্ড ইমরুলের সুযোগ স্কিল ফিটনেস প্রমাণ করার। এরপর আনুষ্ঠানিক ফিটনেস পরীক্ষাও হবে। প্রধান নির্বাচক জানালেন, পরীক্ষায় উতরে গেলে শুধু টেস্ট নয়, সব দলের জন্যই বিবেচনা করা হবে ইমরুলকে।
“ইমরুল আমাদের অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। দূর্ভাগ্যবশত হায়দরাবাদ টেস্টের আগে ও চোট পেয়েছে। ফিটনেসের জন্য আমরা ওকে বিসিএলে দুটি রাউন্ড দেখব। ১ তারিখে ওর দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ হবে। দুইদিন বিশ্রামের পর চার তারিখে ফিটনেস টেস্ট দেবে। পজিশন যদি ভালো থাকে, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করব।”
“সেক্ষেত্রে স্কোয়াড দাঁড়াবে ১৭ জনের। যেহেতু লম্বা সফর। নিউজিল্যান্ডেও আমরা বাড়তি কিছু খেলোয়াড় নিয়ে গিয়েছিলাম। আর ইমরুলতো ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টিতেও বিবেচনায় আছে। সুতরাং তাকে যোগ করতে আমাদের কোন অসুবিধা হবে না।”
হায়দরাবাদ টেস্টের আগে ইমরুলের পরিবর্তে নেওয়া হয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেনকে। এবারও ইমরুল না থাকায় টিকে গেছেন মোসাদ্দেক। তবে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের বাইরে আপাতত স্কোয়াডে তৃতীয় ওপেনার নেই।
নির্বাচকরা অবশ্য বিকল্প ভেবে রেখেছেন। প্রথম টেস্টে জরুরি কোনো অবস্থা হলে লিটন দাসকে দিয়ে কাজ চালানো হবে। টেস্টে তাকে মিডল অর্ডারে বিবেচনা করা হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে লিটন খেলেন টড অর্ডারেই। তবে প্রধান নির্বাচকের আশা, দ্বিতীয় টেস্টেই পাওয়া যাবে ইমরুলকে।
“লিটনকে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে ইমরুল অবশ্যই ফিটনেস টেস্টে উতরে যাবে। এখন দেখার বিষয় দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার পর ওর অবস্থাটা কি দাঁড়ায়।”
“মাসল ইনজুরি আগে থেকে বলা খুব মুশকিল। অনেক সময় মনে হয় সমস্যা নেই। কিন্তু বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে সেশনের পর সেশন ফিল্ডিং করতে হয়। আমরা ফিজিও ও ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন ইমরুল যদি ফিটনেসে উতরে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সে দলে ফিরবে।”
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট শুরু ৭ মার্চ। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ১৫ মার্চ, যেটি হবে বাংলাদেশের শততম টেস্ট।