ব্যাপারটি ভাবাচ্ছে বিসিবিকেও। বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানালেন, উইকেটকিপিং নিয়ে মুশফিকের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।
শুধু ক্যাচ বা স্টাম্পিং নিয়মিত মিস করাই নয়, কিপিং করায় মুশফিকের ওপর চাপও বাড়ছে অনেক। দলের অধিনায়ক তিনি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যনদের একজনও। দলের অন্যতম সেরা হয়েও ব্যাটিং অর্ডারে অনেক নিচে ব্যাট করতে হচ্ছে কেবল কিপিংয়ের ক্লান্তির কথা ভেবেই।
আকরাম জানালেন, এইসব কিছু নিয়েই মুশফিকের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।
“সবশেষ টেস্টই যদি দেখেন, মুশফিককে প্রায় পুরো সময় মাঠে থাকতে হয়েছে। ১৬০ ওভার কিপিং করে আবার লম্বা সময় ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করেছে। এরপর আবার কিপিংয়ে ছুটতে হয়েছে। কাজটা কঠিন।”
“এখন মুশফিক ছুটিতে আছে। কয়েক দিন রিল্যাক্স করুক। আমাদের হাতে এখনও কয়েকদিন সময় আছে। আমরা ওর সঙ্গে বসব, আলাপ করে দেখব কি হয়। যেটা ভালো হয়, আমরা সেটাই করব।”
মঙ্গলবারই ঘোষণা করা হবে শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট স্কোয়াড। দল দেশ ছাড়বে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ভারতে টেস্ট চলার সময় বিসিবি প্রধান বলেছিলেন, শুধু কিপিং নয়, আলোচনা হবে মুশফিকের অধিনায়কত্ব নিয়েও। তবে বোর্ড সভা যেহেতু এই সময়ে নেই, শ্রীলঙ্কায় হয়ত অধিনায়ক হয়ে যাচ্ছেন মুশফিকই।
কিপিং নিয়ে আলোচনাতেও অবশ্য মুশফিকের চাওয়াকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে, জানালেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।
“ওর মতামতটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ও যদি মনে করে তিনটা কাজ করে ক্লান্তি আসে বা মনোযোগে সমস্যা হয়, তাহলে তো আমরা যা করণীয় করবই। ওর আইডিয়া কি বা কি চাচ্ছে, সেটা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওর কথা না শুনে এখনই কিছু বলা আমাদের ঠিক হবে না।”
মুশফিকের কথাকেই বেশি গুরুত্ব দিলে অবশ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনাই নেই। বরাবরই তিনি বলে এসেছেন যে তিনটিই চালিয়ে যেতে চান এবং কিপিংটা তার ভালোবাসার জায়গা। হায়দরাবাদ টেস্ট শেষে প্রবল সমালোচনার মধ্যেও একই কথা বলেছেন আবারও। তার মতামতটি তাই অনুমেয়ই। বোর্ডও তাতে সায় দিলে শ্রীলঙ্কায়ও টস করতে এবং উইকেটের পেছনে দেখা যাবে মুশফিককেই।