আক্ষেপের নাম প্রথম ইনিংস

বোলারদের এনে দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে বিশাল সংগ্রহ গড়তে পারতো না ভারত। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কেউ বড় ইনিংস খেললে পাঁচশ পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব ছিল বাংলাদেশের। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মনে করেন, হায়দরাবাদ টেস্টের দুই দলের প্রথম ইনিংসই মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2017, 02:31 PM
Updated : 13 Feb 2017, 02:44 PM

২০৮ রানে টেস্ট হারের পর সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক পুরানো কথাগুলোই নতুন করে বললেন। 

“টেস্ট ক্রিকেট অনেক কঠিন খেলা। পাঁচদিন ধরে ধারাবাহিক ভালো খেলতে হয়। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে সবকিছু একদিন ঠিক করলেই যে কোনো দলকে হারানো যায়। টেস্টে ব্যাপারটি ভিন্ন। প্রথম ইনিংসে ভালো খেললে পরের ইনিংসে প্রতিপক্ষ অন্য পরিকল্পনা নিয়ে আসে। সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। আমাদের তাই অনেক উন্নতি করতে হবে।”

ইদানিং 'যদি, কিন্তু' পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ দলকে। আরও একবার শোনা গেল মুশফিকের কণ্ঠে।

“প্রথম ইনিংসে ওদের যদি সাড়ে পাচশ’ রানেও আটকাতে পারতাম, তাহলে দ্বিতীয় ইনিংসে ওরা হয়ত আরেকটু সময় ব্যাট করত। আমাদের ছাড়ত শেষ দিনে। তখন দ্বিতীয় ইনিংসে চার সেশনের বদলে তিন সেশন ব্যাট করতে হতো আমাদের। তখন ব্যাপারটা অন্যরকম হতে পারত।”

“প্রথম ইনিংসে তাই ১৫০-১৭০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি আমরা। ব্যাটিংয়ে আমাদের প্রথম ইনিংসের সময়ও উইকেট দারুণ ছিল। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কেউ বড় স্কোর করলে আমরা ওদের প্রথম ইনিংসের রানের কাছাকাছি যেতে পারতাম। অন্তত ৫৫০ করতে পারতাম।”

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৬৮৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জবাবে ৩৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে জয়ের পর এই সংস্করণে টানা তিন ম্যাচ হারলো বাংলাদেশ। অধিনায়ক তারপরও দেখছেন উন্নতি।

“আগে যেটা হতো, আমরা মাঝেমধ্যে একটা-দুইটা টেস্ট ভালো খেলতাম। এখন নিয়মিত ভালো খেলছি। আরও এগিয়ে যেতে হলে যেটি প্রয়োজন, ধারাবাহিক ভাবে পাঁচদিন ভালো খেলা। নিউ জিল্যান্ডে আমরা দুই টেস্টেই তিন দিন সমান তালে লড়েছি। এখানে সাড়ে তিন দিন। এটাই পাঁচদিন করতে হবে। আশা করি, আরও কিছু টেস্ট খেললে আমরা এই জায়গায়টায় উন্নতি করতে পারব।”

এই বছর আরও আটটি টেস্ট খেলতে পারে বাংলাদেশ। কাজটা করে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে মুশফিকের দল।