বিপর্যয়ে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়েছেন আগের দিন। মুশফিকের সেই বীরোচিত ব্যাটিং চতুর্থ দিনে পূর্ণতা পেয়েছে সেঞ্চুরিতে। আরেক পাশ থেকে সঙ্গীদের নিয়মিত হারালেও দলকে নিয়ে গেছেন ৩৮৮ রান পর্যন্ত।
প্রথম ইনিংসে ২৯৯ রানের লিড পেয়েছে ভারত। কিন্তু বিরাট কোহলি হয়ত বিশ্রাম দিতে চেয়েছেন বোলারদের। হয়ত শেষ ইনিংসে ব্যাট করার সামান্য ঝুঁকিও নিতে চাননি। বাংলাদেশের তাতে খুশিই হওয়ার কথা। ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনা বাড়ল একটু হলেও।
মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে সেই আগের দিনের প্রতিরোধ থেমেছে এদিন সাত সকালেই। ৮৭ রানের জুটি ভেঙেছে ওখানেই। দিনের প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বরের বলে এলোমেলো মিরাজের স্টাম্পস। ভেতরে ঢুকতে থাকা বলটি শেষ মুহূর্তে ঢুকেছে আরও একটু সুইং করে। মিরাজের ব্যাট-প্যাডের মাঝে ছিল বিশাল ফাঁক।
এরপর থেকে লড়াইটা যেন ছিল মুশফিক বনাম ভারত। তাইজুল ও তাসকিন খানিকটা সঙ্গ দিয়েছেন। মুশফিক বাড়িয়ে গেছেন রান। ইশান্ত শর্মাকে পুল করে দলের প্রথম ছক্কা। উমেশ যাদবকে ফ্লিক করে সেঞ্চুরি ২৩৪ বলে।
মুশফিকের এটি পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। পাঁচটি করলেন ভিন্ন পাঁচটি দেশে। ব্যাটসম্যান হিসেবে তার পরিপূর্ণতার আরেকটি চিহ্ন।
সেঞ্চুরির পর আরও বাড়িয়েছেন গতি। অশ্বিনকে কাভার ড্রাইভে চার মারার পর স্লগ সুইপে মেরেছেন ছক্কা। অশ্বিনকেই ডাউন দা উইকেটে চার মেরেছেন তার পাশ দিয়ে। পরের বলেই সুইপ করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড। ১২৭ রানে থামলেন মুশফিক। দলর ইনিংসেরও ইতি।
ওই উইকেট নিয়েই আড়াইশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন অশ্বিন। টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম! মাত্র ৪৫ টেস্ট লেগেছে অশ্বিনের। ভেঙেছেন ডেনিস লিলির ৩৫ বছর পুরোনো রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ফাস্ট বোলারের লেগেছিল ৪৮ টেস্ট।
২ উইকেট নিতে ৯৮ রান খরচ করতে হয়েছে অশ্বিনকে। ওভারপ্রতি রানও গুণেছেন প্রায় সাড়ে তিন। দ্বিতীয় ইনিংসেও অশ্বিনকে এভাবেই বিমুখ করে রাখতে চাইবে দল। তবে তার আগে, যতটা পারা যায় দীর্ঘায়িত করতে হবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ১৬৬ ওভারে ৬৮৭/৬
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১২৭.৫ ওভারে ৩৮৮ (আগের দিন ৩২২/৬)( মুশফিক ১২৭, সাব্বির ১৬, মিরাজ ৫১, তাইজুল ১০, তাসকিন ৮, কামরুল ০*; ভুবনেশ্বর ০/৫২, ইশান্ত ১/৬৯, অশ্বিন ২/৯৮, উমেশ ৩/৮৪, জাদেজা ২/৭৭)