নিজের প্রথম ৬ ইনিংসে মিরাজের রান ছিল ৬। সর্বোচ্চ ২। পরিসংখ্যান যা বলছে তার চেয়ে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান তিনি। ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটারের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না দলের সতীর্থ বা টিম ম্যানেজমেন্টের।
নিউ জিল্যান্ড সফরে প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কে যান মিরাজ। হায়দরাবাদ টেস্টের আগে ৮ ইনিংসে তার রান ছিল ২০, খেলেছিলেন সব মিলিয়ে ৮৩ বল। এক ইনিংসেই সব ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েছেন ৮৭ রানের জুটি। ১০৩ বলে মিরাজ অপরাজিত ৫১ রানে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সাকিব আল হাসান খুব প্রয়োজনের সময় নিজেকে মেলে ধরা মিরাজকে প্রশংসায় ভাসান।
“এটাই ওর প্রথম ফিফটি, অবশ্যই ওর জন্য স্পেশাল একটা দিন। আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়ে ওর এমন একটা ইনিংস দলকে অনেক সাহায্য করবে।”
সাকিব ও সাব্বির হাসানের ফিরে যাওয়ার পর তৃতীয় সেশন বাংলাদেশ টিকবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু বুক চিতিয়ে লড়লেন মিরাজ। অধিনায়ককে নিয়ে নিরাপদে কাটিয় দিলেন দিনের শেষ ৩২.৫ ওভার।
“এটা ওই সময়ে মিরাজ এবং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মুশফিক ভা্ইয়ের সাথে উইকেটে থেকে দলের জন্য অবদান রাখাটা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর সেটা ও দারুণভাবে করেছে। আমরা তাকে নিয়ে যেভাবে ভাবি সেভাবেই সে খেলেছে।”
“আমরা তার বলের পারফরম্যান্সকে বড় করে দেখছি। আজ প্রমাণ করেছে সে ব্যাট করতে পারে। আশা করছি, কাল তার ইনিংস আরও বড় হবে।”
স্বস্তিতে তৃতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশের ফলোঅনের শঙ্কা এখনও কাটেনি। ভারতকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে এখনও ১৬৬ রান চাই তাদের। পিছনে আছে কেবল তাইজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তাসকিন আহমেদ। মিরাজ অধিনায়ককে যত সঙ্গ দিবেন, দলের ফলোঅন এড়ানোর সম্ভাবনা তত বাড়বে।