হায়দরাবাদে বাংলাদেশের মূল ৫ বোলারই ছিলেন দারুণ উদার। দুই পেসারই রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি। ২৫ ওভারে ১২৭ রানে একটি উইকেট তাসকিন আহমেদের। ১৯ ওভারে ঠিক ১০০ গুণেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
৪২ ওভার বোলিং করেও মেডেন পাননি মেহেদী হাসান মিরাজ; ১৬৫ রান দিয়ে ২ উইকেট। সাকিব আল হাসান ২৪ ওভারে ১০৪। হতাশার ইনিংসে দলের সেরা বোলার তাইজুল ইসলাম। তবে ৩ উইকেট নিতে ৪৭ ওভারে তিনিও গুণেছেন ১৫৬ রান।
এর আগে ৫ দফায় ইনিংসে একশ রান দিয়েছিলেন বাংলাদেশের চার বোলার। এবার আরেকধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ ভাগ বসালো রেকর্ডে। সব মিলিয়ে ৫ বোলারের রান দেওয়ার সেঞ্চুরি টেস্ট ক্রিকেট দেখল সপ্তমবার।
প্রথমটি ছিল ১৯৫৫ সালে। সেঞ্চুরি দেওয়া ও নেওয়ার পাঁচে পাঁচ মিলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের জ্যামাইকা টেস্টে। ৫ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান করেছিলেন সেঞ্চুরি। ৫ ক্যারিবিয়ান বোলার দিয়েছিলেন শতরান। টেস্ট ইতিহাসে দুটিই ছিল প্রথম।
টেস্টে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বোলারের শতরান দেওয়ার ব্রিবতকর রেকর্ড জিম্বাবুয়ের অধিকারে। ২০০৪ সালে বুলাওয়ায়ো টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন অঙ্কের রান দিয়েছিলেন দেশটির ৬ বোলার।
সেই থেকে ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি হয়েছে আর একবারই; বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের। ৫ বোলারের সেঞ্চুরি হয়ে গেল ৭ বার। বিব্রতকর আরও একটি রেকর্ডে উঠল বাংলাদেশের নাম।