১৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দ্রুত সাইফ হাসানকে হারায় মধ্যাঞ্চল। দ্বিতীয় দিন শেষে দলটির সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৫ রান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান ২৯ রানে অপরাজিত। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ৫৫ রানের জুটিতে রকিবুল হাসানের অবদান ২৯ রান।
দ্বিতীয় ওভারে সাইফকে মেহেদী মারুফের ক্যাচে পরিণত করেন এবাদত হোসেন। দিনের বাকি সময়ে আর কোনো সাফল্য পায়নি পূর্বাঞ্চল।
তাসামুল হকের সঙ্গে ১২৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা লিটন দাস। এরই মধ্যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের নবম শতক তুলে নেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
২ উইকেটে ২৫৫ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়ানো পূর্বাঞ্চলকে চাপে ফেলেন শুভাগত। এই অফ স্পিনার ৩২ রানের মধ্যে ফিরিয়ে দেন তাসামুল, অলক কাপালী, ইয়াসির আলী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে। হঠাৎ চাপে পড়া দলকে পথ দেখান সেই লিটনই।
আবুল হাসানের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটিতে দলকে ৭ উইকেটে ৩৬০ রানে নিয়ে যান তিনি। এই জুটি গড়ার পথেই ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতকে পৌঁছান লিটন। এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ২৪১ বলে খেলা ২১৯ রানের দারুণ ইনিংসটি গড়া ২৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়।
বাঁহাতি স্পিনার তাইবুর রহমান ৩ উইকেট নেন ৫০ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২২৪
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৮.৩ ওভারে ৩৬৭ (লিটন ২১৯, মারুফ ৪১, জাকির ৯, তাসামুল ৩৮, কাপালী ০, ইয়াসির ৫, সাইফুদ্দিন ০, হাসান ৪০, সাকলাইন ০, জায়েদ ২, এবাদত ০; শহিদুল ১/৮৩, শরীফ ১/২২, শুভাগত ৫/১০১, মোশাররফ ০/১৩, তানবীর ০/৮১, তাইবুর ৩/৫০, সাইফ ০/১২)
মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: ১৮ ওভারে ৬৫/১ (শামসুর ২৯*, সাইফ ৪, রকিবুল ২৯*; জায়েদ ০/১৬, এবাদত ১/২৫, হাসান ০/৮, সাইফুদ্দিন ০/৭, সাকলাইন ০/১, কাপালী ০/৬)