‘মুস্তাফিজের মনোবিদ দরকার নেই’

অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমান লড়ছেন মনের জোর ফিরে পেতে। তবে এখানে ক্রীড়া মনোবিদের কোনো সাহায্য দরকার আছে বলে মনে করছেন না বিসিবির প্রধান ক্রীড়া চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী। তার বিশ্বাস, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেটে যাবে তরুণ বাঁহাতি পেসারের সমস্যা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2017, 01:54 PM
Updated : 28 Jan 2017, 02:17 PM

নিউ জিল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মুস্তাফিজ খেলেননি দুই টেস্টসহ শেষ তিন ম্যাচে। শেষের দিকে শরীরের পাশে যা নীচের দিকে যে ব্যথা অনুভব করছিলেন সেটাও এখন আর নেই।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চোট পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. দেবাশীষ। এ সময় তিনি জানান, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে প্রতি সপ্তাহে চোটের যে আপডেট তাদের কাছে পাঠানো হয় তাতে মুস্তাফিজের নাম নেই। অর্থাৎ এই পেসার এই সম্পূর্ণ ফিট।

“এখন যে চোটের কথা বলা হয়েছে, ওটা পাঁজরের একটা সমস্যা। এটা পেসারদের খুব সাধারণ একটা সমস্যা, এগুলো থাকবেই। টিম ম্যানেজমেন্টের পাঠানো তালিকায় ওর নাম থাকায় আমরা ধরে নিচ্ছি, এই মুহূর্তে চোট নিয়ে ওর তেমন কোনো সমস্যা নেই।”

দেশে ফেরার পর বিসিবির চিকিৎসক দলের সঙ্গে দেখা হয়নি মুস্তাফিজের। তবে যখনই এই পেসারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে নিজেদের মতো করে কাউন্সিলিংয়ে চেষ্টা করেছেন তারা। টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, ফিজিও সবাই কথা বলছেন বাঁহাতি পেসারের সঙ্গে।

ডা. দেবাশীষ মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে মুস্তাফিজকে একটু সময় দিতে হবে।

“একটা অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফিরলে আত্মবিশ্বাসের অভাব কাজ করতেই পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক। এটা খেলার সঙ্গে সঙ্গে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি হবে। এই মুহূর্তে মনে হয় না, কোনো পেশাদার কাউন্সিলর দিয়ে ওকে কাউন্সিলিং করানোর দরকার আছে। আমরা চাচ্ছি, আন্তর্জাতিক খেলায় ফিরে আসার জন্য আগে ওকে বেশি সময় দিতে।”

কাঁধের চোট নিয়েও মুস্তাফিজের সঙ্গে কথা হয়েছে বিসিবির চিকিৎসক দলের।

“মুস্তাফিজ ওর কাঁধ নিয়ে কোনো অভিযোগ করছে না। কাঁধ নিয়ে ওর ভয় লাগার কথা না। ও কাঁধে যে চোট পেয়েছিল সেটা কিন্তু বোলিং চোট না, ওটা ডাইভিং চোট।”

নিউ জিল্যান্ডে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে চোট পাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে ডা. দেবাশীষ।

“হাতের চিড় সারতে সাধারণত ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় নেয়। সেই সময়টা মাশরাফিকে দিতেই হবে। এই সময়ে হাত বন্ধ থাকবে, হাত ব্যবহার করতে পারবে না। সেই সময়টা শেষ হবে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে গিয়ে। এরপর ওর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবো। আশা করি, শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই ওকে খেলায় ফিরিয়ে আনতে পারবো।”

শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টের পর সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ। তাতে সেরে উঠতে একটু বাড়তি সময় পাবেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তার মতো এত সময় নেই মুমিনুল হকের হাতে। তবে ডা. দেবাশীষের বিশ্বাস, ভারত টেস্টের অনেক আগেই মাঠে ফিরতে পারবেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

“মুমিনুলের পাঁজরে বড় আঘাত লেগেছিল। বাংলাদেশেও আবার আমরা ওর স্ক্যান করাই। তাতে কোনো ধরনের চিড় ধরা পড়েনি। ব্যথাটা কমতে একটু সময় লাগছে। এই ধরনের ব্যথা কমতে সব সময়ই নেয়। ওরও ব্যথা প্রতিদিন একটু একটু করে কমছে। আমরা মুমিনুলের ব্যাপারে আশাবাদী যে, শিগগির ও মাঠে ফিরে যেতে পারবে।”