মাঠে ফেরার লড়াই শুরু মুশফিকের

ব্যথা পুরোপুরি কমেনি, হয়তো কমবেও না, তবুও বসে নেই মুশফিকুর রহিম। ডান হাতের বুড়ো আঙুলে কোনো চিড় নেই জানার পর নেমে গেছেন মাঠে ফেরার লড়াইয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2017, 12:56 PM
Updated : 28 Jan 2017, 01:29 PM

নিউ জিল্যান্ড থেকে চোট নিয়ে দেশে ফেরার পর শনিবারই প্রথম ব্যাট হাতে নেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তার ভারত সফর নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছেন না বিসিবির প্রধান ক্রীড়া চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী।

“মুশফিকের চোট পাওয়া ডান হাতের বুড়ো আঙুলে স্ক্যান করানো হয়, সেখানে কোনো চিড় ধরা পড়েনি। তাই ওর চোট নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত না। এখানে আসার পর আমরা ওর কিছু ফিজিওথেরাপি শুরু করি। ওর উন্নতি খুবই সন্তোষজনক।”

“আজকে প্রথম ও ব্যাট হাতে নিয়েছে। এই অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ৩১ তারিখের পর ওর খেলায় ফিরতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।”

খুব বেশি গতির বল খেলেননি মুশফিক। নক দিয়ে শুরু করেছেন ফেরার লড়াই। এদিন চোট পাওয়া আঙুলে ছিল আলগা ব্যান্ডেজ। এর ব্যাখ্যা দিলেন বিসিবির চিকিৎসক।

“আমি হাতে একটা কিছু পড়েছি এটা হয়তো, একজন খেলোয়াড়কে স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। ১০০ মাইল বেগের একটা বল যদি এসে লাগে আপনি কোনো প্রটেকশন দিয়েও কিছু করতে পারবেন না। এটা খেলোয়াড়কে যতটা না শারীরিক সুরক্ষা দেয় তার চেয়ে বেশি মানসিক সুরক্ষা দিচ্ছে। মুশফিকের সঙ্গে কথা হয়েছে, ও বলেছে, একটা সাপোর্ট যদি থাকে তাহলে আমি আমার আত্মবিশ্বাসটা পাই। এটা ক্ষতিকর কিছু না।”

চিড় না থাকলেও ব্যথা আছে মুশফিকের। ডা. দেবাশীষ জানান, সেরে উঠতে আরও সময় দিতে হবে তাকে।

“উইকেটরক্ষকের জন্য আঙুলে ব্যথা থাকাটা খুব স্বাভাবিক। তাদের তো প্রতিটি বল ধরতে হবে। ওদের চোট আসলে কখনও পুরোপুরি সারে না। ওরা অত লম্বা সময় বিশ্রামও নিতে পারে না। উইকেটরক্ষককে আঙুলের চোট নিয়ে অত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই, ওটা থাকবেই।”

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ভারতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট। সেই ম্যাচে মুশফিক কিপিংও করবেন না কি না তার জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

“খেলার আগের দিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওটা এখন থেকে বলা খুব কঠিন। তবে ওর যে মানসিক দৃঢ়তা সেটা আমাকে এক ধরনের ধারণা দিচ্ছে, ও খেলে ফেলতে পারে। এটা নিয়ে হয়তো অন্য কেউ নাও খেলতে পারে। এর সবই ধারণা, সময়ের সঙ্গে এটা পরিষ্কার হবে।”