ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টে খেলার পর বাদ পড়েছিলেন কামরুল। নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পের দলে ছিলেন না। বিপিএলে আরেক পেসার শফিউল ইসলামের চোটে স্ট্যান্ড বাই থেকে তার সুযোগ মিলে। শেষ পর্যন্ত থাকেন টেস্ট দলে, খেলেন দুই ম্যাচেই।
৬ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি কামরুল। ১০ নম্বরে নেমে ব্যাট হাতেও দেখিয়েছেন দৃঢ়তা।
ওয়েলিংটনে প্রথম ইনিংসে নিজের প্রথম বলে নিউ জিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কামরুল। ক্রাইস্টচার্চে নিজের দ্বিতীয় বলে করেন তার পুনরাবৃত্তি। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবার ভাঙেন স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট হাতেও নিজের সামর্থ্যটা দেখান কামরুল। প্রথম ইনিংসে ৯২ মিনিট টিকে ৬৩ বলে করেন ২ রান। ওই ইনিংসে তার চেয়ে বেশি বল খেলেন কেবল সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান ও সাকিব আল হাসান।
দ্বিতীয় ইনিংসে আরও উজ্জ্বল কামরুল। নবম উইকেটে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে গড়েন ৫১ রানের জুটি। অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ২৫ রানে।
হ্যাগলি ওভালে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তামিম আলাদা করেই কামরুলের কথা বলেন।
“কামরুল ইসলাম রাব্বির মনোভাব দারুণ। ও খুব ভালো করেছে।”
শুধু কামরুল এক নন, পুরো পেস বোলিং ইউনিটই পেয়েছে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া তামিমের প্রশংসা।
“আমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও বললাম, পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নাই। কারণ, এই অভিজ্ঞতা নিয়ে ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। শুধু বোলিং না ব্যাটিংয়েও ভালো করেছে।”
“আমাদের সব সময় একটা অভিযোগ থাকত, টেলএন্ডাররা ব্যাটিংয়ে সেভাবে কিছু করতে পারে না। ওরা এবার শরীরে বলের আঘাতও সয়েছে। আমি যখন আমার ইনিংসগুলো দেখি তখন মনে হয়, ওরা আমার চেয়েও বেশি পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত ছিল; ততটুকু আমিও হয়তো ছিলাম না।”
ওয়েলিংটন টেস্টে খেলার আগে তিন পেসারের মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল মোটে ২ টেস্টে। ক্রাইস্টচার্চে রুবেল হোসেন ফেরায় অভিজ্ঞতা খানিকটা বাড়ে। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের চেয়ে তাও অনেক পিছিয়ে ছিলেন অতিথি পেসাররা।