সফরের আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে জিতেছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। নিউ জিল্যান্ডে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও তার ব্যাটে ছিল হাসি। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজ শুরু হতেই রান হাওয়া তার ব্যাট থেকে। তিন ম্যাচে করলেন মোটে চার রান- শূন্য, ১ আর ৩!
নেপিয়ারে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেন ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত। খেলেন ৫২ রানের এক ইনিংস। শেষ দুই ম্যাচে আবার ব্যর্থ এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ১৯ ও ১৮ রান নয়, ওই দুই ম্যাচে পরিস্থিতির দাবি ছিল আরও বড় ইনিংসের।
প্রথম টেস্টে ২৬, ৫ রানের পর ভালো করতে পারেননি দ্বিতীয় ম্যাচেও। ১৯ আর ৩৮ রান করা এই ব্যাটসম্যানের আউটের ধরন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে হয় ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া তামিমের।
“(মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাইয়ের জন্য হয়তো এটা তার সেরা সিরিজ ছিল না। যখন এমন সময় যায়, যখন কোনো কিছুই আপনার দিকে যায় না, তখন এই ধরনের ডিসমিসালগুলো হয়। দেখবেন তার খুব একটা ভালো সিরিজে এই বলগুলোই খুব সুন্দরভাবে খেলছে, ভালো টাইমিং হচ্ছে।”
অফ স্টাম্পের বাইরের বলে নিয়মিতই ভুগেছেন মাহমুদউল্লাহ। এমনিতে ড্রাইভ খুব ভালো খেলেন, এবার সেই চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকবারই বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। শর্ট বলে ছিল অস্বস্তি, ফুল লেংথ বলেও ছিলেন না স্বচ্ছন্দ্য। ইশ সোধির লেগ স্পিনও ভুগিয়েছে। তবে মাহমুদউল্লাহর চেষ্টায় কোনো ত্রুটি দেখেন না তামিম।
“আমি উনাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি না। তবে অবশ্যই সব দিক থেকে উনার চেষ্টা ছিল। হয়তো তার আউটই একই রকম মনে হয়েছে, ক্রিকেটে কখনও কখনও এটা হয়।”