সতীর্থরা ছুটে বাসে উঠে গেলেও থামতে হলো নুরুল হাসানকে। টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যেই ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, রেকর্ডার হাতে দাঁড়িয়ে সংবাদকর্মীরা। খেলা হয়নি এক বলও, কিন্তু গোটা দিন ভেস্তে যাওয়ায় ম্যাচ নিয়েছে নতুন মোড়। দলের ভাবনার কথা তো কাউকে বলতে হবে!
নুরুলের কাছে অবশ্য প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল তার নিজেকে নিয়েই। মুশফিকুর রহিমের চোটে হঠাৎ করেই টেস্ট অভিষেকের সুযোগ। ব্যাট হাতে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। রান সংখ্যার চেয়েও বেশি নজর কেড়েছে লড়াইয়ের মানসিকতা। উইকেটের পেছনে তো তিনি বরাবরই দুর্দান্ত। অভিষেকটা যথেষ্টই তৃপ্তি দেওয়ার কথা এখনও পর্যন্ত।
তবে নুরুল খুশি হচ্ছেন না এখনই। অপেক্ষা দলের উৎসবে নিজের অভিষেক রাঙানোর। একটি দিন যদিও হারিয়ে গেছে। তার বিশ্বাস, তবু সম্ভব দারুণ কিছু।
“আমার অভিষেক ভালোই হয়েছে। আরও দুই দিন বাকি আছে। দল হিসেবে ভালো করতে পারলে আরও ভালো লাগবে।”
“উইকেটের যা কন্ডিশন, তাতে দুই দিন যথেষ্টই সময়। আমরা চেষ্টা করব ভালো কিছু করতে। ভালো খেলতে পারলে অনেক কিছুই সম্ভব।”
এমনিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার রেকর্ড ও ফর্ম, দুটিই ছিল বেশ ভালো। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট মানে তো সর্বোচ্চ পরীক্ষা। সেটিও ক্রাইস্টচার্চের উইকেট-কন্ডিশনে। নুরুল সেই পরীক্ষায় উতরে গেছেন নিজের সহজাত খেলাতেই।
“মাঠে নামার পর ভিন্ন কিছু মনে হয়নি। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেষ্টা করেছি। উইকেট, কন্ডিশন অবশ্যই আলাদা। ওয়ানডেতে যে রকম উইকেটে খেলেছি, সেসব থেকেও টেস্টের উইকেট আলাদা। চেষ্টা ছিল সময় নিয়ে ব্যাট করার।”
“প্রথম শ্রেণির ম্যাচে যেভাবে খেলি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি। তবে উইকেটের কারণে ছোটখাটো বদল তো আনতেই হয়। ব্যাটিং কোচ, হেড কোচের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করেছি।”
নুরুল চেষ্টা করেছেন, দারুণ কিছু না হলেও পেরেছেন অবদান রাখতে। এবার দলের কিছু করার পালা। লম্বা সফরের শেষ দুটি দিন। সত্যিই একটি টেস্ট ম্যাচ জিততে পারলে হয়ত আড়াল হবে আগের ব্যর্থতাও।
কে না জানে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার!