দ্বিতীয় দিন ৩০তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন সাকিব। চার ওভারের স্পেলে ২৪ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। টম ল্যাথাম, রস টেইলরদের খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার।
হেনরি নিকোলস-মিচেল স্যান্টনাররের জুটি ভাঙার আশায় অনিয়মিত পেসার সৌম্য সরকারকে দিয়েও তিন ওভার করান তামিম ইকবাল। সাফল্য মেলেনি তখনও। অবশেষে ৬৭তম ওভারে আবার আক্রমণে আনেন দলের সেরা বোলারকে। এবার আর হতাশ হতে হয়নি। ফিরে প্রথম ওভারেই স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব।
পরের ওভারে দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান বিজে ওয়াটলিং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন জানান, সাকিবের ৩ উইকেট দলকে অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে।
“এটা (সাকিবের ৩ উইকেট) আমাদের জন্য অনেক বড় উপকার হয়েছে। (তার কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স) স্বাভাবিক ব্যাপার। টেস্ট খেলাটাই এমন, মোমেন্টামের ব্যাপার। যখন মোমেন্ট আসে তখন সেটা ধরতে হয়। আমরা ধরতে পেরেছি, খুব ভালো হয়েছে আমাদের জন্য।”
দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে আগেভাগেই খেলা শেষ হওয়ার আগে ৭১ ওভারে ২৬০ রানের মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের সাত ব্যাটসম্যানকে আউট করেছে অতিথিরা। দ্বিতীয় নতুন বল নিতেও বেশি দেরি নেই। তাসকিন মনে করেন, ৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিতে পারায় তৃতীয় দিন খানিকটা এগিয়ে থাকবে তারাই।
“সাকিব দারুণ বোলিং করেছেন। তার তিন উইকেট মোমেন্টাম পরিবর্তন করে আমাদের দিকে নিয়ে এসেছে।”
“তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বোলার। কোনো সন্দেহ নেই, তিনি ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা বোলার। তিনি যে কোনো কিছু করে ফেলতে পারে। তিনি অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ।”
সাকিবের সেরা বোলিং ৭/৩৬ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেই, দেশের মাটিতে। প্রতিপক্ষের মাটিতে এর আগে কখনও দুই উইকেটের বেশি পাননি এই বাঁহাতি স্পিনার। এখন পর্যন্ত ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।