২৮৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ

ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৮৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2017, 09:40 PM
Updated : 20 Jan 2017, 05:42 AM

৫৭ রানে নেই শেষ ৫ উইকেট
 
১১ নম্বর ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেন ছাড়া বাংলাদেশের শেষ সাত ব্যাটসম্যানের বাকিদের মিলিত অভিজ্ঞতা মাত্র ১০ টেস্টের। তাদের ব্যাটিংয়েও ছিল অনভিজ্ঞতার স্পষ্ট ছাপ। প্রান্ত বদল করে খেলার চেয়ে শুধু টিকে থাকার চেষ্টায় ৫৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। 
 
সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান ব্যাট করার সময় অনেক বড় স্কোরের আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ১৭ বলের মধ্যে তাদের সঙ্গে সাব্বির রহমানও ফিরে গেলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দুই অভিষিক্ত নুরুল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৫৩ রানের জুটিতে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। নাজমুলের বিদায়ের বিদায়ের পর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে তিনশ’ পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা।
 
৯৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার টিম সাউদি। বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ৪ উইকেট নেন ৮৭ রানে। 
 
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৮৪.৩ ওভারের সব বল পেসাররাই করে। সবচেয়ে বেশি ২৮.৩ ওভার করেন সাউদি। বোল্ট ২৪ ওভার। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের সুযোগ হয়নি বল হাতে নেওয়ার। 

সাউদির পঞ্চম শিকার কামরুল
 
কামরুল ইসলাম রাব্বিকে এলবডিব্লিউ করে নিজের পঞ্চম উইকেট নেন টিম সাউদি। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২৮৯ রানে।

নুরুলের প্রতিরোধ ভাঙলেন বোল্ট
 
অভিষেকে অর্ধশতকের আশা জাগানো নুরুল হাসানকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। শর্ট বলে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দেন নুরুল। ৯৮ বলে ৫টি চারে ৪৭ রান করেন এই তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। 
 
নুরুল ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২৭৩/৯।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন কামরুল
 
টিম সাউদির আগের ওভারে রিভিউ নিয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ফেরাতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। ডানহাতি পেসারের পরের ওভারে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন কামরুল। হটস্পট আর রিয়েল টাইম স্নিকোতে দেখা যায় বল গ্লাভসে লাগেনি, ক্যাচ গেছে আর্ম গার্ডে লেগে।

টিকলেন না তাসকিন
 
নুরুল হাসানকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। টিম সাউদির বলে গালিতে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই তরুণ। 
 
৮ রান করে তাসকিন ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২৫৭/৮।

ছেড়ে দিয়ে বোল্ড মিরাজ
 
প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কে যাওয়ার পরপরই ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নিল ওয়েগনারের বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন এই তরুণ। একটু ভেতরে ঢোকা বল অফ স্টাম্পের ঠিক ওপরে আঘাত হানে।
 
১০ রান করে মিরাজ আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২৪৮/৭।

নুরুলের দ্বিতীয় জীবন
 
চার রানে একবার বেঁচে যাওয়া নুরুল হাসান আবার জীবন পান ৩৬ রানে। নিল ওয়েগনারের বলে সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি রস টেইলর।

শর্ট বলে ফিরলেন শান্ত
 
টিম সাউদির শর্ট বলে ফিরেন অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত। বুক সমান উচ্চতার বলে শর্ট ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জিত রাভালকে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার বিদায় ভাঙে ১৯.৪ ওভার স্থায়ী ৫৩ রানের জুটি। 
 
১৮ রান করে শান্ত ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২৩২/৬।

নুরুল-শান্তর জুটিতে অর্ধশতক
 
বিপদে পড়া বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরাতে লড়াই করেন নুরুল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ১৮.৫ ওভারে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি।

নুরুল-শান্তর লড়াই
 
দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে দুই অভিষিক্ত নুরুল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ১৬.৩ ওভারে ৪৬ রানের জুটি গড়েন দুই তরুণ। 
 
দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৫ রান। নুরুল ৩১ ও শান্ত ১৫ রানে অপরাজিত। এই সেশনে সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান ও সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে ৯৭ রান যোগ করেছে অতিথিরা।

বাংলাদেশের দুইশ
 
ট্রেন্ট বোল্টের বলে চার হাঁকিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুইশ’ রানে নিয়ে যান নুরুল হাসান। ২১.৩ ওভারে একশ’ ছোয়া দলটি দুইশ’ রানে যায় ৪৩.৪ ওভারে। 
 
৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০০/৫।

জীবন পেলেন নুরুল

অভিষেক টেস্টে প্রথম ইনিংসে চার রানে ফিরতে পারতেন নুরুল হাসান। ট্রেন্ট বোল্টের বলে দ্বিতীয় স্লিপে টিম সাউদিকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

১৭ বলে ৩ উইকেটে এলোমেলো বাংলাদেশ

দ্বিতীয় সেশনের শুরুটাও ভালো হয় বাংলাদেশের। দলকে ২ উইকেটে ১৬৫ রানের দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যান সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান। এরপরই হঠাৎ ছন্দ পতন। দুই থিতু ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ১৭ বলের মধ্যে ফিরেন সাব্বির রহমানও।

১৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ক্রিজে তখন দুই অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান।

সাকিবের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ

সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমানের পর দ্রুত ফিরেন সাকিব আল হাসানও। তামিম ইকবালের মতো টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানও।

৭৮ বলে ৯টি চারে ৫৯ রান করেন সাকিব। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৭৯/৫।

সাব্বিরের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

সৌম্য সরকারের পর সাব্বির রহমানকে দ্রুত ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন ট্রেন্ট বোল্ট। বাঁহাতি পেসারের শর্ট বলে স্লিপে ক্যাচ তালুবন্দি করেন টিম সাউদি।

৭ রান করে সাব্বির ফিরে যাওয়ার সময় দলের সংগ্রহ ১৭৭/৪।

সৌম্যর আউটে ভাঙল প্রতিরোধ

সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রতিরোধ ভাঙেন ট্রেন্ট বোল্ট। শর্ট কাভারে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান করেন ৮৬ রান। তার ১০৪ বলের ইনিংসটি গড়া ১১টি চারে।  

সৌম্যর বিদায়ে ভাঙে তার সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ২৫.৩ ওভার স্থায়ী ১২৭ রানের জুটি। দলের সংগ্রহ তখন ১৬৫/৩।

সাকিবের অর্ধশতক

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে অর্ধশতকে পৌঁছান সাকিব আল হাসান। ৬৫ বলে আটটি চারে টেস্টে বিশতম পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৮/২।

সৌম্য-সাকিব জুটিতে শতক

দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে ১১৭ বলে শত রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে।

প্রথম সেশন সৌম্য-সাকিবের দৃঢ়তা

একাদশ ওভারের মধ্যে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহকে হারানো বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানের দিকে নিয়ে যান সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান। প্রথম দিনের লাঞ্চে যাওয়ার সময় দলের স্কোর ১২৮/২। ওভার প্রতি রান এসেছে ৪.৭৪ করে।

প্রথম অর্ধশতক পাওয়া সৌম্য ৬৪ ও সাকিব ৩৯ রানে অপরাজিত। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে তারা গড়েছেন ৯০ রানের জুটি।

জীবন পেলেন সৌম্য

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান সৌম্য সরকার। প্রথম স্লিপে রস টেইলরের সহজ ক্যাচ ছিল। ঝাঁপিয়ে পড়েন দ্বিতীয় স্লিপে থাকা জিত রাভাল। ধরতে পারেননি তিনি, বল পাননি টেইলরও। বল ছাড়ায় সীমানা। সে সময় ৫২ রানে ব্যাট করছিলেন সৌম্য।

সৌম্যর প্রথম অর্ধশতক

চতুর্থ টেস্টে ষষ্ঠ ইনিংসে এসে প্রথম অর্ধশতক পান সৌম্য সরকার। কলিন ডি গ্র্যান্ড হোমকে তিন বলের মধ্যে দুটি চার হাঁকিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

৫৪ বলে ৭টি চারে আসে সৌম্যর অর্ধশতক। তার আগের সেরা ছিল ২০১৫ সালে ফতুল্লা টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৩৭ রান।

দ্রুত একশতে বাংলাদেশ

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে পুল করে চার হাঁকিয়ে বাংলাদেশের স্কোর তিন অঙ্কে নিয়ে যান সৌম্য সরকার। ২১ ওভার ৩ বলে একশ’ ছাড়ায় দলটির সংগ্রহ।

সৌম্য-সাকিব জুটিতে অর্ধশতক

দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে ৫২ বলে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে।

১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯০/২।

প্রথম ঘণ্টায় ২ উইকেট

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ঘণ্টায় দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহকে হারায় বাংলাদেশ। ১৩ ওভার শেষে দলটির স্কোর ৫৮/২। এই সময়ে আটটি চার হাঁকিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

টিকলেন না মাহমুদউল্লাহ

একের পর এক ড্রাইভ খেলেন মাহমুদউল্লাহ; কিন্তু ব্যাটে বলই লাগাতে পারছিলেন না। অবশেষে যখন ট্রেন্ট বোল্টের ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাট ছোঁয়ান, তা হয় উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংয়ের জন্য সহজ ক্যাচ।

১৯ রান করে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ৩৮/২।

নিউ জিল্যান্ডের ব্যর্থ রিভিউ

নবম ওভারে প্রথম রিভিউ নেয় নিউ জিল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্টের বলে মাহমুদউল্লাহকে কট বিহাইন্ডের আবেদন জানায় স্বাগতিকরা। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন কেন উইলিয়ামসন। হটস্পট আর রিয়েল টাইম স্নিকোতে দেখা যায় বল ব্যাটে লাগেনি, ছুঁয়ে গেছে কাঁধ।

সৌম্য, মাহমুদউল্লাহর ‘প্রথম’

ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমের চোটে নতুন চেহারা পায় বাংলাদেশের টপ অর্ডার। প্রথমবারের মতো ইনিংস উদ্বোধন করেন সৌম্য সরকার। নিজের আগের তিন টেস্টে মিডলঅর্ডারে ব্যাট করেছিলেন এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চার থেকে নয় নম্বরে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা থাকা মাহমুদউল্লাহ প্রথমবারের মতো নামেন তিনে।

শর্ট বলে আউট তামিম

মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া তামিম ইকবাল ফিরেন দ্রুত। চতুর্থ ওভারে টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে সহজ ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

৫ রান করে তামিম ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৭/১।

বাংলাদেশ দলে চার পরিবর্তন

অনুমিতভাবেই বাংলাদেশের একাদশে অভিষিক্ত দুজন। মুশফিকুর রহিমের চোটে নুরুল হাসানের অভিষেক নিশ্চিতই ছিল। ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে স্বাভাবিক নড়াচড়া করতে পারেননি মুমিনুল হক। এরপর অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর অভিষেকও।

নুরুলকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন তামিম; শান্তকে সাকিব আল হাসান। এই দুজনের বাইরে পরিবর্তন আছে আরও দুটি। পেসার শুভাশীষ রায়ের জায়গায় ফিরেছেন রুবেল হোসেন। চোট পাওয়া ইমরুল কায়েসের জায়গায় সৌম্য সরকার।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

আগের রাতে ছিল ঝুম বৃষ্টি, কাঁপন ধরানো হিম বাতাস; ম্যাচের সকাল পুরো উল্টো। ঝলমলে রোদ, ঝকঝকে নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো উড়ে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘ। আবহাওয়ার স্বস্তি থাকলেও টস ভাগ্যকে পাশে পায়নি বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম টস হেরেছেন তামিম ইকবাল।

টস জিতে হ্যাগলি ওভালের ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে স্বাভাবিকভাবেই বোলিং নিয়েছেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

প্রথম সেশনটাই বাংলাদেশের প্রথম চ্যালেঞ্জ!

উইকেটে যথারীতি ঘাসের ছোঁয়া

স্কাই টিভির পিচ রিপোর্টে ক্রেইগ কামিং জানালেন, বরাবরের হ্যাগলি ওভাল উইকেটের তুলনায় এবারেরটি ব্যাটিংয়ের জন্য একটু ভালো হতে পারে। উইকেট এবার একটু শক্ত। প্রথম সেশন সিম মুভমেন্ট মিলবে অবশ্যই। এরপর ক্রমে হয়ে উঠতে পারে ভালো।

সাড়ে ৯ বছর পর নেই মুশফিক

২০০৭ সালের জুলাই থেকে সাড়ে ৯ বছরে টানা ৪৯ টেস্ট খেলার পর চোটের কাছে হার মানলেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ছাড়া হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে খেলছে বাংলাদেশ। এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিককে ছাড়া খেলতে নেমেছিল দল ২০১০ সাল থেকে টানা ৯২ ওয়ানডের পর।  

কম ভুলের তাগিদ তামিমের

নিউ জিল্যান্ডে যে মানের ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ ম্যাচের ফলে নেই তার ছাপ। সফরে টানা হারের মধ্যে থাকলেও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল গর্বিত সতীর্থদের নিজেদের মেলে ধরার প্রচেষ্টায়। তার বিশ্বাস, ভুল কমাতে পারলে ফলাফলেই পড়বে তাদের ভালো খেলার ছাপ।