টিম সাউদির বাউন্সার লেগেছিল মুশফিকের হেলমেটের পেছন থেকে। মাঠ ছেড়েছেন অ্যাম্বুলেন্সে। তবে উইকেটে ১৩ মিনিট শুয়ে থাকার সময়টাতে কথা বলেছেন মুশফিক, সাড়া দিয়েছেন ভালোভাবে। হাসপাতালেও হাঁটাচলা করেছেন নিজের মতোই।
হাসপাতালে মুশফিকের সঙ্গী ছিলেন বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। তিনি জানালেন, হাসপাতালে যাওয়ার পর থেকেই অস্থির ছিলেন মুশফিক। বারবার জানতে চাইছিলেন ম্যাচের খবর। দলের অবস্থা খারাপ হওয়ার সঙ্গে বাড়ে তার অস্থিরতাও।
ঘাড়ে এক্স-রে করানোর পর যখন সমস্যা কিছু ধরা পড়ল না, তখনই মুশফিক চাইছিলেন মাঠে ফিরে ব্যাটিংয়ে নামতে। কিন্তু ডাক্তার এসে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। ডাক্তারের পরামর্শও ছিল বিশ্রাম। তাই মুশফিক চাইলেও আবার নামা সম্ভব ছিল না বাস্তবে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক জানালেন নিজের অবস্থা।
“আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি। আরও অনেক খারাপ হতে পারত। ব্যথা কিছুটা আছে, তবে আশা করি, কাটিয়ে উঠব।”
ঘাড়ের আঘাত বড় কিছু না হলেও আপাতত দুশ্চিন্তা মুশফিকের আঙুলের চোট। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও ডান হাতের তর্জনীর চোট নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে।