তালগোল পাকিয়ে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য হার

এক সময়ে জয়ের স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হেরেছে বড় ব্যবধানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে তালগোল পাকানোর পর বোলাররাও পারেননি লড়াই করতে। তাই সেই হারের বৃত্তেই মুশফিকুর রহিমের দল। ওয়েলিংটন টেস্ট ৭ উইকেটে জিতেছে নিউ জিল্যান্ড।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2017, 10:00 PM
Updated : 16 Jan 2017, 04:52 AM

বিব্রতকর রেকর্ড
 
প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেও হারতে হলো ওয়েলিংটন টেস্ট! টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে এত রান করে হারেনি কোনো দল।
 
উইলিয়ামসনের শতক
 
দলকে সামনে থেকে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া কেন উইলিয়ামসন করেন দারুণ এক শতক। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সুইপ করে নিজের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান তিনি। ৮৮ বলে পঞ্চদশ শতক করার পথে ১৫টি চার হাঁকান তিনি। সেই ওভারেই ১ রান নিয়ে দলকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন অধিনায়ক।
 
ব্যাটিংয়ে তালগোল, বোলিং নির্বিষ
 
আগের দিন শেষ সময়ে মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজের আউটে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পর দিন উইকেট ছুড়ে আসেন সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হক ও সাব্বির রহমান। মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসের বীরত্বের পরও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। 
 
২১৬ রানের পুঁজি নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রাখেন মিরাজ। দুই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন তিনি। কিন্তু স্বাগতিকদের সেরা দুই ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলরের দেড়শ’ রানের জুটি দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যায়।

টেইলরকে ফেরালেন শুভাশীষ
 
শুভাশীষ রায়ের বলে স্লিপে মেহেদী হাসানের চমৎকার এক ক্যাচে ফিরেন রস টেইলর। ভাঙে ১৬৩ রানের জুটি।   
 
৬০ রান করে টেইলর ফিরে যাওয়ার সময় নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ২০২/৩। জয়ের জন্য তাদের চাই আর ১৫ রান।

নিউ জিল্যান্ডের দুইশ’
 
জয়ের জন্য শেষ দিন ৫৭ ওভারে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত রান সংগ্রহ করে নিউ জিল্যান্ড। ৩৫ ওভারে দুইশ’ রানে পৌঁছায় তাদের সংগ্রহ। দেড়শ’ রানের জুটি গড়ে ক্রিজে তখন কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর।

উইলিয়ামসন-টেইলর জুটির দেড়শ’
 
নিউ জিল্যান্ডকে জয়ের পথে রাখা কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে গড়েন দেড়শ’ রানের জুটি। তাদের ১৫০ রান আসে ১৩৪ বলে। 
 
৩৪ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৯০/২। জয়ের জন্য আরও ২৭ রান চাই তাদের।

টেইলরের অর্ধশতক
 
তাসকিন আহমেদের বলে ১ রান নিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছান রস টেইলর। তার সঙ্গে কেন উইলিয়ামসের শতরানের জুটিতে জয়ের পথে নিউ জিল্যান্ড। ৬১ বলে ৫০ রান করতে ৫টি চার হাঁকান চোখের অস্ত্রোপচারের পর এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা টেইলর।

নিউ জিল্যান্ডের দেড়শ
 
জয়ের জন্য শেষ দিন ৫৭ ওভারে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত রান সংগ্রহ করে নিউ জিল্যান্ড। ২৭.২ ওভারে দেড়শ’রানে পৌঁছায় তাদের সংগ্রহ। শত রানের জুটি গড়ে ক্রিজে তখন কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর।

উইলিয়ামসন-টেইলরের শতরানের জুটি

তৃতীয় সেশনের শুরুতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর গড়েন শতরানের জুটি। ৮২ বলে জুটির রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান এই দুই জনে।

২৫ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৩৯/২। জয়ের জন্য আরও ৭৮ রান চাই তাদের।

উইলিয়ামসনের অর্ধশতক
 
শুভাশীষ রায়কে চার হাঁকিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছান কেন উইলিয়ামসন। তার অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে নিউ জিল্যান্ড। 
 
৪৩ বলে ৮টি চারে পঞ্চাশে যান উইলিয়ামসন। তখন দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৭ রান। জয়ের জন্য আরও ৯০ রান চাই তাদের।
 
নিউ জিল্যান্ডের একশ’
 
জয়ের জন্য শেষ দিন ৫৭ ওভারে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত রান সংগ্রহ করে নিউ জিল্যান্ড। ২০.৩ ওভারে তিন অঙ্কে পৌঁছায় তাদের সংগ্রহ। অর্ধশত রানের জুটি গড়ে ক্রিজে তখন কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর।

উইলিয়ামসন-টেইলর জুটির অর্ধশতক
 
দ্বিতীয় সেশনের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে রস টেইলরের সঙ্গে জুটির অর্ধশতক স্পর্শ করেন কেন উইলিয়ামসন। ৪৬ বলে আসে তাদের জুটির অর্ধশতক। 
 
১৯ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৯১/২। জয়ের জন্য শেষ সেশনে আর ১২৬ রান চাই তাদের।

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার ল্যাথাম
 
টানা দ্বিতীয় ওভারে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন প্রথম ইনিংসে শতক করা টম ল্যাথাম। 
 
১৬ রান করে ল্যাথাম ফেরার সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৩৯/২। জয়ের জন্য তাদের চাই আরও ১৭৮ রান।

ম্যাচে মিরাজের প্রথম উইকেট
নবম ওভারে নিউ জিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ফিরতি ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জিত রাভাল। স্বাগতিকদের স্কোর তখন ৩২/১। জয়ের জন্য চাই আরও ১৮৫। 
ম্যাচে মিরাজের এটাই প্রথম উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৩৭ ওভার বল করে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।

দুই প্রান্তেই স্পিনার
 
নিউ জিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে দুই প্রান্তেই স্পিনার ব্যবহার করেন তামিম ইকবাল। তিন ওভার বল করার পর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বিকে সরিয়ে সাকিব আল হাসানকে আক্রমণে আনেন তিনি। অন্য প্রান্তে টানা বল করেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
 
বাংলাদেশে দৃশ্যটা নিয়মিত হলেও ওয়েলিংটনে চলতি টেস্টে এই চিত্র এবারই প্রথম দেখা গেল। 
 
৮ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৩০/০। জয়ের জন্য আরও ১৮৭ রান চাই তাদের।

এবার কিপিংয়ে সাব্বির
 
নিয়মিত উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম হাসপাতালে, মাঠে ফিরলেও তার কিপিং করার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রথম ইনিংসে তার বদলে কিপিং করা ইমরুল কায়েস ঠিক মতো হাঁটতেই পারছেন না। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটের পেছনে দাঁড়ান সাব্বির রহমান।

১৬০ রানে অলআউট বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিম-ইমরুল কায়েসের বীরত্ব, সাব্বির রহমানের অর্ধশতকের পরও ওয়েলিংটন টেস্টের পঞ্চম দিন দ্বিতীয় সেশনে ১৬০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

শুভাশীষ রায়কে শূন্য রানে বোল্ড করে বাংলাদেশ ইনিংসের ইতি টানেন ট্রেন্ট বোল্ট। হেলমেটে বল লাগায় মাঠ থেকে হাসপাতালে যাওয়ায় অনুপস্থিত ছিলেন মুশফিক। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠে নামা ইমরুল অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে।

অলআউট হওয়ার আগে শেষ দিন ৯৪ রান যোগ করে বাংলাদেশ। শেষ দিন বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হক ও সাব্বিরের দিকে। তিনজনই ফিরেন বাজে শট খেলে।

জয়ের জন্য ২১৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছে নিউ জিল্যান্ড।

পাগলাটে শটে সাব্বিরের বিদায়

অন্য প্রান্তে ইমরুল কায়েস আছেন, চোটের জন্য হয়তো দৌড়ে রান নিতে পারবেন না কিন্তু কিছু বল ঠেকিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য তো তার আছে। নিউ জিল্যান্ড তখন মনোযোগী বাউন্ডারি বাঁচানোর দিকে। খানিকটা সময় সহজেই কাটিয়ে দিতে পারতেন সাব্বির রহমান। টিকে থাকার চেষ্টা না করে তিনি ফিরেন অফ স্টাম্পের বাইরের বল অহেতুক তাড়া করতে গিয়ে।

৫০ রান করে বাজে শটে সাব্বির ফেরার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫২/৮। দলের লিড তখন ২০৮ রান।

ইমরুলের ফেরা

আগের দিন স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়া ইমরুল কায়েস ব্যাটিংয়ে ফিরেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ফেরার পর। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই চার হাঁকান তিনি। খোঁড়াতে খোঁড়াতে ক্রিজে যাওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দৌড়ে রান নিতে পারছেন না। 

টিকলেন না কামরুলও

টিম সাউদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। শর্ট বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি। গ্লাভসে লেগে আসা সহজ ক্যাচ তালু বন্দি করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ।

কামরুল ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৪৮/৭। লিড তখন ২০৪।

সাব্বিরের অর্ধশতক

দলকে এগিয়ে নেওয়ার পথে ম্যাচে দ্বিতীয় অর্ধশতকে পৌঁছান সাব্বির রহমান। ৯৭ বলে পঞ্চাশে যেতে ৯টি চার হাঁকান এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। এর আগে প্রথম ইনিংসে অপরাজিত অর্ধশতক আসে তার ব্যাট থেকে।

৫৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৮/৬। লিড তখন ২০৪ রান।

প্রথম সেশনে ৩ উইকেট আর মুশফিকের বিদায়

পঞ্চম ও শেষ দিনের শুরুতে যতটা দায়িত্বশীল ব্যাটিং দরকার ছিল তা করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুতে বাজে শটে ফিরেন সাকিব আল হাসান। উইকেট ছুড়ে আসেন মুমিনুল হকও।

আঙুলে চোট নিয়ে লড়াই করা মুশফিকুর রহিম মাঠ ছাড়েন অ্যাম্বুলেন্সে করে। টিম সাউদির শর্ট বল তার মাথার পেছনে হেলমেটে আঘাত হানে। শেষটায় ট্রেন্ট বোল্টের দারুণ এক ইয়র্কারে ফিরেন তাসকিন আহমেদ।

লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৩৭/৬। লিড ১৯৩ রান। সাব্বির রহমান ৪০ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি শূন্য রানে ব্যাট করছেন।

আগের দিন স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়া ইমরুল কায়েস প্রস্তুত ব্যাটিংয়ে নামার জন্য। হেলমেট-প্যাড পরে বসে থাকতে দেখা গেছে এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে।

পরিস্থিতি হতে পারতো আরও খারাপ। প্রথম সেশনে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন নিউ জিল্যান্ডের ফিল্ডাররা। লাঞ্চের আগে দ্বিতীয় শেষ বলে ফিরে যেতে পারতেন সাব্বির। অন্য প্রান্তে থাকা কামরুলের পরামর্শে রিভিউ নিয়ে টিকে যান তিনি।

রিভিউ নিয়ে টিকে সাব্বির
 
টিম সাউদির বলে কট বিহাইন্ড দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে টিকে যান সাব্বির রহমান। ক্যাচ যায় আর্ম গার্ডে লেগে। টিম সাউদির বল ব্যাট বা গ্লাভস স্পর্শ না করায় পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। সে সময় ৪০ রানে ব্যাট করছিলেন সাব্বির।

প্যাড পরে প্রস্তুত ইমরুল

আগের দিন স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়া ইমরুল কায়েস প্রস্তুত মাঠে নামার জন্য। তাসকিন আহমেদ আউট হওয়ার পর এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে দেখা যায় হেলমেট, প্যাড পরে বসে থাকতে।

বোল্ড হয়ে ফিরলেন তাসকিন

আগের বলে শর্ট লেগে জীবন পান তাসকিন আহমেদ। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের পরের দারুণ ইয়র্কার ঠেকাতে পারেননি এই তরুণ। বোল্ড হয়ে তিনি ফেরার সময় দলের স্কোর ১৩৭/৬। দলের লিড ১৯৩ রান।

অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়লেন মুশফিক

আঙুলে চোট নিয়ে ব্যাট করা মুশফিকুর রহিমের হেলমেটের পিছন দিকে লাগে টিম সাউদির বল। ক্রিজেই শুয়ে পড়েন বাংলাদেশের অধিনায়ক। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিউ জিল্যান্ডের ব্যর্থ রিভিউ

মুশফিকুর রহিম ক্রিজে আসার পর এক ঘণ্টায় মাত্র একটি স্কোরিং শট খেলা সাব্বির রহমান টিম সাউদিকে হুক করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। রিভিউ নেয় নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু বল ব্যাট বা গ্লাভস কোথাও স্পর্শ না করায় পাল্টায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।

জীবন পেলেন সাব্বির

ট্রেন্ট বোল্টকে চার হাঁকাতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান সাব্বির রহমান। সে সময় ১৭ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।

সেই ২৬তম ওভারে শেষ রান পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ক্রিজে আসার পর ১২ ওভারে যত বল খেলেন সাব্বির তার সবই ডট। বোল্টের সেই ওভারের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে আবার রানের দেখা পান তিনি।

জীবন পেলেন মুশফিক

লেগ গালি আর শর্ট লেগ রেখে শর্ট বলে মুশফিকুর রহিমকে ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা প্রায় সফল হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু নিল ওয়েগনারের বলে অধিনায়কের ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচ গালিতে হাতে জমাতে পারেননি টিম সাউদি। সে সময় ৬ রানে ব্যাট করছিলেন মুশফিক।

৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৩/৫। লিড ১৫৯।

ওয়েগনারের শর্ট বলে পরীক্ষা মুশফিকের

আঙুলে চোট নিয়ে ব্যাট করা মুশফিকুর রহিমকে অস্বস্তিতে রাখতে শর্ট লেগ আর লেগ গালি রেখে একের পর এর এক শর্ট বল করে যান নিল ওয়েগনার। বেশ কয়েকবার বল লাগে ব্যাটের হাতলে। দুয়েকবার একটুর জন্য আবার চোট পাননি অধিনায়ক। 

বাংলাদেশের একশ পার

মুশফিকুর রহিমের চারে দ্বিতীয় ইনিংসে একশ’ পার হয় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০০/৫। লিড তখন ১৫৬ রান।

দলকে বিপদে ফেলে ফিরলেন মুমিনুল

দলকে বিপদে ফেলে ফিরেন মুমিনুল হক। নিল ওয়েগনারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

২৩ রান করে মুমিনুল ফেরার সময় দলের সংগ্রহ ৯৬/৫।লিড তখন ১৫২ রান।

দ্বিশতকের পর সাকিবের শূন্য

শেষ দিনের শুরুতেই দলকে বিপদে পেলে আউট হন আগের ইনিংসেই রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। স্যান্টারের বলে মিড-অনে কেন উইলিয়ামসের হাতে সহজ ক্যাচ দেন প্রথম ইনিংসে ২১৭ রান করা এই অলরাউন্ডার।

পাঁচ বল খেলে শূন্য রানে সাকিবের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৬/৪। লিড আগের দিনের মতোই ১২২।

হঠাৎ শঙ্কার মেঘ

চতুর্থ দিন শেষ সেশনে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সাবলীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। হঠাৎ বিপত্তি, দ্রুত রান নিয়ে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইমরুল কায়েস। দ্রুত ফিরেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আঙুলে চোট রয়েছে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের।

শেষ দিন ১২২ রানের লিড নিয়ে ১০ রানে অপরাজিত মুমিনুল হকের সঙ্গে নামেন আগের ইনিংসেই ২১৭ রান করা সাকিব আল হাসান। দলকে নিরাপদে নিতে ভূমিকা রাখতে হবে সাব্বির রহমানকেও।