তামিমের চোখে মুমিনুল ‘অসাধারণ’

তীব্র বাতাস, স্ট্যান্স নিয়ে সরে দাঁড়াতে হলো বেশ কয়েকবার। একবার তো বাতাস তাকে ক্রিজ থেকেই সরিয়ে দিল! দমকা হাওয়া খানিকটা নাড়িয়ে দিলেও নাড়াতে পারেনি কিউই পেস আক্রমণ। প্রথম দিন শেষে মুমিনুল হক টিকে আছেন বাংলাদেশের ভরসা হয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক ওয়েলিংটন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2017, 12:30 PM
Updated : 12 Jan 2017, 12:30 PM

টেস্টে অবশ্য বরাবরই বাংলাদেশের ভরসা মুমিনুল। অদ্ভুত সব যুক্তিতে বাংলাদেশের লাল-সুবজ পোশাকে তিনি ব্রাত্য হয়ে আছেন অনেক দিন। দেশের হয়ে কেবল সাদা পোশাকই গায়ে চাপানোর সুযোগ পান। এই টেস্ট বাদ দিলে গত দেড় বছরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন দুটি। কারণ বাংলাদেশ এই সময়ে টেস্টও খেলেছে দুটি!

এত দিন পর পর মাঠে নেমে পারফর্ম করা কঠিন। সেই কঠিন কাজই মুমিনুল করে যাচ্ছেন। ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিন শেষে অপরাজিত ৬৪ রানে। দুর্দান্ত এক অর্ধশতকে বাংলাদেশের দারুণ ব্যাটিংয়ের শুরু যার হাত ধরে, সেই তামিম ইকবালের কণ্ঠে তাই মুগ্ধতা সতীর্থের জন্য।

“গত দুই বছর ধরেই মুমিনুল আমাদের জন্য দারুণ করছে। ওর কাজটা কঠিন। কারণ স্রেফ একটা ফরম্যাটেই খেলে। ছয় মাস, এক-দেড় বছর অপেক্ষা করতে হয় টেস্ট ম্যাচের জন্য। সেসব বিবেচনায় নিলে ও অসাধারণ।”

সফরে ম্যাচ প্রথম খেলতে নামলেও শুরু থেকেই দলের সঙ্গে আছেন মুমিনুল। সিডনির ক্যাম্প থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন অনুশীলন। নেটে ব্যাট করেছেন দিনের পর দিন। তামিমের ধারণা, দলের সঙ্গে থাকাটা মুমিনুলের কাজে দিয়েছে দারুণভাবে।

“এবার শুরু থেকেই ও দলের সঙ্গে ছিল, এটা ওকে সাহায্য করেছে। সীমিত ওভারে না খেললেও দলের সঙ্গে ছিল, ট্রেনিং করেছে। বিসিবি ও টিম ম্যানেজমেন্ট দারুণ কাজ করেছে ওকে দলের সঙ্গে বয়ে এনে এবং ট্রেনিংয়ে সব সুবিধা দিয়ে। আমি নিশ্চিত এই কন্ডিশনে ভালো খেলতে ওটা ওকে সাহায্য করেছে। আমি নিশ্চিত কালকেও ভালো করবে।”

নিজের সীমা কখনোই খুব একটা ছাড়িয়ে যান না মুমিনুল। তামিমের মতে, এটিই ব্যাটসম্যান মুমিনুলের শক্তির জায়গা।

“মুমিনুল এমন একজন ব্যাটসম্যান, যে নিজের কমফোর্ট জোন থেকে খুব বেশি বাইরে আসে না। সে জানে সে কি করছে এবং কি করার সামর্থ্য আছে। এটাই ওকে ভালো ক্রিকেটার করে তুলেছে।”

ভালো ক্রিকেটারের শুরুটা ভালো হয়েছে। এবার প্রয়োজন সেটিকে দারুণ কিছুতে রূপ দেওয়া!