মুস্তাফিজ যখন খেলছেন না, তখন একজনের অভিষেক প্রায় অবধারিতই ছিল। তাসকিনকে নিয়ে প্রশ্নও নেই। কিন্তু রুবেল হোসেন স্কোয়াডে থাকার পরও আনকোরা আরেকজন পেসারকে একাদশে রাখায় উঠছে প্রশ্ন। এমনিতেই যখন পেস বোলিংয়ে অভিজ্ঞতার অভাব, তখন কেন অভিজ্ঞ একজন পেসারকে উপেক্ষা?
ম্যাচের আগের দিন যা ঠিক হয়েছে, তাতে একাদশে জায়গা পাচ্ছেন না রুবেল। শেষ মুহূর্তে ভাবনার বদল না হলে রাব্বি, তাসকিন ও শুভাশীষকে নিয়েই গড়া হচ্ছে বেসিন রিজার্ভের সবুজাভ ২২ গজের জন্য বাংলাদেশের পেস আক্রমণ।
রুবেল অভিজ্ঞ হলেও অবশ্য টেস্ট রেকর্ড বলার মতো নয়। ২৩ টেস্টে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩২ টি। গড় ৭৫.৯০, টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বোলিং গড়গুলোর একটি। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতে মনে হচ্ছিলো রুবেল দারুণ ছন্দে আছেন। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তার রেকর্ডও বেশ ভালো।
জানা গেছে, চন্দিকা হাথুরুসিংহে এখনও ঠিক আস্থা পাচ্ছেন না রুবেলের ওপর। কোচের ধারণা, টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভার বোলিং করতে পারলেও টেস্টে লম্বা স্পেলে এবং কয়েকটি স্পেলে দীর্ঘসময় বোলিং করার মত ছন্দে ও অবস্থায় এখনও নেই রুবেল।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টে ১৯ উইকেট নেওয়া মিরাজকে উপেক্ষা করা কঠিন। আবার বেসিন রিজার্ভের সবুজাভ উইকেট থেকে পেস বোলিংয়ে বাড়তি একটি বিকল্প ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটিংকে শক্তিশালী করার ভাবনা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। শেষ পর্যন্ত থাকছেন সম্ভবত মিরাজই।
এই মাঠে প্রথম দেড়-দুই দিনের পরই উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়ে ওঠে। সবশেষ দুই টেস্টে অফ স্পিনারদের সাফল্যও আছে। সেই সব ভাবনা থেকেই মিরাজকে রাখার পক্ষে ভোট পড়েছে বেশি। উইকেটে বাড়তি বাউন্স আছে, তাছাড়া এখানে মিরাজের সোজা বলও বেশ কার্যকর হওয়ার কথা।
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জানিয়েছেন, মিরাজের কাছ ধেকে ব্যাট হাতেও কিছু চায় দল। তিন পেসারের একজনেরও ব্যাটের হাত সুবিধের নয়। তাই ব্যাটিংয়েও মিরাজকে দায়িত্ব নিতে হবে।