ওয়ানডে সিরিজের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সব ম্যাচে খেলানো হচ্ছে না মুস্তাফিজকে। দলের সঙ্গে থাকা প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানালেন, ফিজিওর পরামর্শ মেনেই শেষ টি-টোয়েন্টিতে দেওয়া হচ্ছে বিশ্রাম। একাদশে ফিরছেন তাসকিন আহমেদ। শনিবার বে ওভালের নেটে সাদা-লাল, দুই বলেই অনুশীলন করেছেন প্রথমবার টেস্ট দলে ডাক পাওয়া তাসকিন।
দীর্ঘ চোট কাটিয়ে ফেরার পর এখনও পুরো ছন্দ ফিরে পাননি মুস্তাফিজ। সেটা অনুমিতই। এতদিনের মরচে ঝেড়ে ফেলতে সময় লাগে। একটি দুটি ম্যাচ বিশ্রাম দিয়ে খেলানোয় প্রশ্নের কিছু নেই। বরং সিরিজ হেরে যাওয়ার পর এটিই বেশি যৌক্তিক। তবে ভাবনার জায়গা অন্যটি। শারীরিক অস্বস্তি ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠলেও মুস্তাফিজের মনের মরচে যে সরছে না!
এই সফরে প্রথম ওয়ানডে যখন খেললেন, তখনও শতভাগ ফিট ছিলেন না মুস্তাফিজ। বল থ্রো করায় ছিল সমস্যা। অনুভব করছিলেন খানিকটা ব্যথা। এখন আর সেটা নেই। দীর্ঘদিনের অনভ্যাসের কারণে ম্যাচ খেলার পর শরীরের পাশে বা পেছনে খানিকটা ব্যথা হয়। তবে সেটা খুব স্বাভাবিক। শঙ্কার কিছু নেই। তবে নিজেকে নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না মুস্তাফিজ। ভরসা পাচ্ছেন না খুব বেশি, মনের জোর এখনও ফিরে পাননি পুরোপুরি।
সব মিলিয়েই তাই শেষ টি-টোয়েন্টিতে দেওয়া হচ্ছে বিশ্রাম। রাখা হয়নি প্রথম টেস্টের স্কোয়াডেও। ভাবনায় খুব বেশি বদল না হলে, রাখা হবে না দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডেও। সেক্ষেত্রে টেস্টে ফিরতে পারেন ভারত সফরের একমাত্র টেস্ট দিয়ে।
প্রথম টেস্ট না খেললেও মুস্তাফিজকে দলের সঙ্গেই রাখা হবে বলে ভাবা হয়েছিল শুরুতে। কিন্তু পরের টেস্টও যদি না খেলেন, সেক্ষেত্রে তাকে দলের সঙ্গে রাখার যৌক্তিকতা দেখছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। মুস্তাফিজের সঙ্গে তাই খোলাখুলি আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচক, কোচ ও অধিনায়ক। জানার চেষ্টা করা হবে তার ভাবনা ও মানসিক অবস্থা।
মুস্তাফিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হলেও বাকিদের ব্যাপারে তা চূড়ান্ত। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দেশে ফিরে যাবেন টেস্ট দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। ২২ জনের বিশাল বহর তখন হালকা হবে খানিকটা। ফিরে যাবেন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় সফরে আসা পেসার এবাদত হোসেনও। তবে দলে না থাকলেও ডেভেলপমেন্টের আরেক ক্রিকেটার নাজমুল হাসান শান্ত থেকে যাবেন।