মাহমুদউল্লাহর ওভারেই সব শেষ নয়

নিউ জিল্যান্ড সফরের আগের একদিন। বিপিএল চলছে তখন। মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইটানস। শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে মাহমুদউল্লাহ খুলনাকে তখন দুটি ম্যাচ জিতিয়েছেন অভাবনীয়ভাবে। সেদিন আড্ডায় মাশরাফিকে মজা করে বলছিলেন, “মাশরাফি ভাই, বোলিং দিয়েন কিন্তু…।” মাশরাফি সিরিয়াস হয়েই বলেছিলেন, “প্র্যাকটিসে, নেটে ভালো করে বোলিং করিস।”

ক্রীড়া প্রতিবেদক মাউন্ট মঙ্গানুই থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2017, 01:23 PM
Updated : 6 Jan 2017, 01:58 PM

মোসাদ্দেক হোসেন আসার পর মাহমুদউল্লাহর স্পিনকে এমনিতেই একটু কম প্রয়োজন হচ্ছে মাশরাফির। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বে ওভালে স্পিন একটু ধরছে দেখে মাহমুদউল্লাহকে আনলেন মাশরাফি। এরপর যা হলো, তার পর হয়ত আর মজা করেও কখনও বোলিং চাইবেন না এই অফ স্পিনার!

প্রথম ওভারটি ভালোই করেছিলেন, দিয়েছিলেন মাত্র ৪ রান। পরের ওভারেই তেতো স্বাদ। মাহমুদউল্লাহকে তুলোধুনো করে কলিন মানরো এক ওভারেই নিলেন ২৮ রান! ম্যাচের মোমেন্টাম তখনই ঘুরে যায় অনেকটা।

তবে ওই ওভারকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মানতে নারাজ স্বয়ং মাশরাফিই।

“ওই ওভারে যতটা রান হয়েছে ততটা আশা করিনি। এই মাঠে ১৮০ রান হয়, হয়তো ১৫টা রান বেশি করেছে। সেটা যে কোনো জায়গা দিয়ে বের হয়ে গেছে। সেই সময়ে ও থিতু ব্যাটসম্যান ছিল ওরা সুযোগ নিয়েছে। টি-টোয়েন্টি এক-দুই ওভারের খেলা, ওখান থেকেই ম্যাচগুলো ঘুরে যায়। আমরা শুরুতে উইকেট নিয়েছিলাম, তখন যদি আরেকটু পরিকল্পনা করতাম। এক পাশ দিয়ে অন্য পাশে বাতাস বইছিল। যদি এক পাশে রক্ষণাত্মক থেকে অন্য পাশে একটু আক্রমণাত্মক থাকতাম।”

অধিনায়কের স্থির বিশ্বাস, মাহমুদউল্লাহর ওভারটির পরও লক্ষ্য ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।

“এই উইকেটে যেহেতু ১৮০ নিয়মিত তাড়া হয়েছে। তাই আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল যে, যদি ভালো শুরু পাই, উইকেট বেশি গেলেও যেন ৬০-৭০ রান হয়। তারপরও একটা পর্যায়ে গিয়ে আমরা সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি। ৪৮ বলে ৮০ রান লাগবে, ৬ উইকেট হাতে ছিল। ওদের মূল বোলাররা বেশিরভাগ বল করে ফেলেছে। ওই সময়ে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরপর দুজন থিতু ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ার পরে খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল।”

কঠিন হয়ে যায়নি, আসলে কঠিন করা হয়েছে। নিজেদের কাজ বাংলাদেশ কঠিন করে তুলছে নিজেরাই। ছেড়া যাচ্ছে না তাই হারের বৃত্ত।