তাড়াহুড়ো করতে মানা হয় না শোনা

প্রশ্নটা থাকবেই, মাশরাফি বিন মুর্তজা জানতেন। তবে জানা নেই উত্তর। ওয়ানডে সিরিজ শেষে একবার বলেছেন, ব্যাখ্যা জানা নেই তার। প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবার অসহায়ত্ব ফুটে উঠল অধিনায়কের কণ্ঠে। প্রসঙ্গ, ব্যাটিং ধস!

ক্রীড়া প্র্রতিবেদক, নেপিয়ার থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2017, 02:19 PM
Updated : 3 Jan 2017, 02:40 PM

নানা সময়ে, নানা পরিস্থিতিতে, নানা ভাবে ধস নামছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে, নেপিয়ারে যার সূচনা ম্যাচের শুরুতেই। ৩০ রানে নেই ৪ উইকেট। ব্যাটিং উইকেটে তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার জোগাড় শুরু। মাশরাফি যেটিকে বলছেন ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট’।

বরাবরের মতোই প্রতিপক্ষের আক্রমণে যতটা কাবু, তার চেয়ে বেশি ধরা দিয়েছে নিজেরাই। যেন আমন্ত্রণ জানিয়ে আনা হয়েছে ধস। ব্যাটিংয়ের শুরু থেকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এতটা তাড়াহুড়ো শুরু করেছিলেন যেন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি নয়, সিক্স-এ-সাইড, ৬ ওভারেই শেষ!

ম্যাচের প্রথম বলটি ছেড়ে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। পরের বলেই গেলেন হাঁকাতে। তৃতীয় বলেই ডাউন দ্য উইকেট! দ্বিতীয় ওভারেই ইমরুল কায়েস অফ স্টাস্পের বলে ক্রস ব্যাটে এমন স্লগ খেলে আউট হলেন যেন বিশ্বকাপ জিততে প্রয়োজন ছিল ১ বলে ৬ রান!

সাব্বির রহমান উইকেটে যাওয়ার খানিক পরই খেলতে গেলেন স্কুপ শট। এতটা ছটফট করলে টিকে থাকা কঠিন। তামিম-সাব্বিররাও পারেননি। ভুগেছে দল।

প্রশ্ন হলো, শুরু থেকেই অমন পাগলাটে চেষ্টা কেন? দল থেকেই কি তবে নির্দেশনা ছিল শুরু থেকেই অতি আক্রমণাত্মক খেলার! মাশরাফি জানালেন, দলের নির্দেশনা ছিল উল্টো।

“অলআউট খেলতে হবে এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। নিউ জিল্যান্ডে পা রাখার পর এমন কিছু কাউকে বলা হয়নি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার কাজে লাগাতে হবে, এটা জানতাম আমরা। তার পরও পরিষ্কার বলা আছে, উইকেটে থিতু হয়ে তারপর খেলার জন্য।”

“সবাইকে বলা ছিল, যদি উইকেটে কোনো ঝামেলার কিছু থাকে, তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য বার্তাটা দিয়ে দিলেই হবে। আমার মনে হয়, কোনো অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আমরা ব্যাপারটা সামলাতে পারিনি।”

অধিনায়কের সরল স্বীকারোক্তিতে সহানুভূতি মেলে, তবে সমাধান তো হয় না! দ্রুত সমাধান বের করতে না পারলে উধাও হয়ে যেতে পারে সহানুভূতিগুলিও।