ক্রিকেট ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ডারবান, জোহানেসবার্গ, সেঞ্চুরিয়ন, কেপটাউন, পোর্ট এলিজাবেথে কোনো ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। ২০০২ ও ২০০৮ সালের সফরে একটি টেস্ট খেলার সুযোগ মিলেছিল সেঞ্চুরিয়নে। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে খেলতে বাকি ভেন্যুগুলোতে যাওয়ার সুযোগ এখনও মেলেনি।
নয় বছর পর আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ। প্রায় দেড় মাসের সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা।
পচেফস্ট্রমে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দেড় দশকের মধ্যে এই ভেন্যুতে এটাই হবে প্রথম টেস্ট! ২০০২ সালে এখানে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র টেস্টটি খেলেছিল বাংলাদেশই।
বাংলাদেশের সফরে ৭ বছরের মধ্যে আবার টেস্ট আয়োজনের সুযোগ মিলছে আরেক ভেন্যু ব্লুমফন্টেইনের। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট এখানে শুরু হবে ৬ অক্টোবর। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এখানেই খেলেছিল সিরিজের প্রথম টেস্ট। তারপর থেকে ব্লুমফন্টেইনে এই সংস্করণে কোনো ম্যাচ হয়নি।
১৫, ১৮ ও ২২ অক্টোবর ওয়ানডে ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে কিম্বার্লি, পার্ল ও ইস্ট লন্ডনে। প্রথম দুই ওয়ানডের ভেন্যুতে ২০১৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে কোনো ওয়ানডে হয়নি।
২০০২ সালের সফরে কিম্বার্লিতে একটি ওয়ানডে খেলেছি বাংলাদেশ। পার্লে এবারই প্রথম খেলবে তারা। তৃতীয় ওয়ানডের ভেন্যু ইস্ট লন্ডনে এর আগে একটি করে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের।
প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে ২৬ অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে ফিরবে বাংলাদেশ। ২৯ অক্টোবর পচেফস্ট্রমে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে সফর শেষ করবে তারা। এই ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হবে মানগুয়াং ওভালের।
সফরের শুরুতে ২১ সেপ্টেম্বর একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ১২ অক্টোবর এই সংস্করণেও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অতিথিরা।
২১-২৩ সেপ্টেম্বর | তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ | বেনোনি |
২৮ সেপ্টেম্বর – ২ অক্টোবর | প্রথম টেস্ট | পচেফস্ট্রম |
৬-১০ অক্টোবর | দ্বিতীয় টেস্ট | ব্লুমফন্টেইন |
১২ অক্টোবর | প্রস্তুতি ম্যাচ | ব্লুমফন্টেইন |
১৫ অক্টোবর | প্রথম ওয়ানডে | কিম্বার্লি |
১৮ অক্টোবর | দ্বিতীয় ওয়ানডে | পার্ল |
২২ অক্টোবর | তৃতীয় ওয়ানডে | ইস্ট লন্ডন |
২৬ অক্টোবর | প্রথম টি-টোয়েন্টি | ব্লুমফন্টেইন |
২৯ অক্টোবর | দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি | পচেফস্ট্রম |