পঞ্চম রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৪ রান। ইমতিয়াজ হোসেন ২০ ও অলক কাপালী ১১ রানে ব্যাট করছেন। এখনও ৮২ রানে পিছিয়ে দলটি।
নাসিরের ক্যারিয়ার সেরা ২০১ রানের ওপর ভর করে ৯ উইকেটে ৩৯৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। বুধবার নাসির যখন ক্রিজে আসেন দল এতটা দূর যাবে ভাবাটা কঠিনই ছিল। ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন চাপে দল। এক পর্যায়ে ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের লিড পাওয়া নিয়েই শঙ্কা জাগে।
অপরাজিত শতকে দলকে কক্ষপথে রাখেন নিজেকে হারিয়ে খোঁজা নাসির। ২০১২-১৩ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো পৌছান তিন অঙ্কে। সেখানেই থেমে যাননি। বৃহস্পতিবার দলকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে পেয়েছেন দারুণ এক দ্বিশতক।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করে রংপুর। অলরাউন্ডার-টেলএন্ডারদের নিয়ে সেখান থেকে দলকে চারশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান নাসির। চার হাঁকিয়ে দিন শুরু করা আরিফুল হক তার সঙ্গে গড়েন ৮০ রানের চমৎকার এক জুটি।
সঙ্গীর অভাবে নাসিরের প্রথম দ্বিশতকে যাওয়া নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। সকালে মন্থর শুরুর পর ক্রমশ শট খেলতে শুরু করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে নির্ভরতা জোগান সাজেদুল ইসলাম। নবম উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়ার পথেই দ্বিশতকে যান নাসির।
জায়েদের পঞ্চম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৪৩ বলে ২০১ রান করেন নাসির। তার ৪৯৫ মিনিট স্থায়ী ইনিংসটি গড়া ২৪টি চার ও ৩টি ছক্কায়।
১১২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে জায়েদ সিলেটের সেরা বোলার। বৃহস্পতিবার রংপুরের চারটি উইকেটই নেন তিনি। খালেদ আহমেদ ৪ উইকেট নেন ৮৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট ১ম ইনিংস: ২৭২
রংপুর ১ম ইনিংস: ১১৯ ওভারে ৩৯৮ (সায়েম ১, লিটন ১০, মাহমুদুল ১০, নাঈম ০, নাসির ২০১, ধীমান ২৬, আরিফুল ২৬, শুভ ৭৮, আলাউদ্দিন ১০, সাজেদুল ২৫*, সাদ্দাম ২*; জায়েদ ৫/১১২, খালেদ ৪/৮৯, সায়েম ০/২০, কাপালী ০/৩৫, ফেরদৌস ০/৬৯, শাহানুর ০/৬৭)
সিলেট ২য় ইনিংস: ১৫ ওভারে ৪৪/৩ (ইমতিয়াজ ২০*, সায়েম ২, জাকির ১, রাজিন ৩, কাপালী ১১*; সাদ্দাম ১/২০, সাজেদুল ১/৮, শুভ ০/২, আলাউদ্দিন ১/১০)