মাশরাফির প্রশ্ন, তামিমের উত্তর

এমনিতে দুজন দলের সিনিয়র ক্রিকেটার, মাঠের বাইরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ক্রিকেটার হিসেবে পরস্পরের অনুরাগী। তবে একটু সময়ের জন্য মাশরাফি বিন মুর্তজা বসলেন তামিম ইকবালের মুখোমুখি। বাংলাদেশ অধিনায়ক সংবাদকর্মী হয়ে প্রশ্ন করলেন দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে। তামিমও উত্তর দিলেন খুব ‘সিরিয়াস’ হয়েই!

ক্রীড়া প্রতিবেদক নেলসন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2016, 10:15 AM
Updated : 27 Dec 2016, 03:30 PM

ক্রিকেটারদের সঙ্গে সংবাদকর্মীদের প্রতিদিনের আনুষ্ঠানিক কথোপকথনের গৎবাধা দৃশ্যপ্রবাহে একটু বৈচিত্র্য যোগ হলো এ দিন। নেলসনে টিম হোটেলের সামনে বসে বাংলাদেশের পাঁচ সংবাদকর্মীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন মাশরাফি ও তামিম। সংবাদ সম্মেলনের যখন সময় হলো, তামিম হাসতে হাসতে সংবাদকর্মীদের বললেন, “ভাই, এখানে যে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ৯৫ করেছিলাম, আবার করব কিনা, দয়া করে এ রকম কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। অন্য যা কিছু জিজ্ঞেস করেন…।”

তামিম যখন বলছেন, মাশরাফির ঠোঁটের কোণে তখন হাসির রেখা। অনুরোধ মেনে সেই প্রশ্ন করা হলো না। সবশেষে তবু ঠিকই একজন করে বসলেন সেই প্রশ্ন। তামিমের আপত্তির সুযোগই ছিল না। প্রশ্নকর্তা যে স্বয়ং মাশরাফি!

চোখ নাচিয়ে হাসতে হাসতে মাশরাফির প্রশ্ন, “তামিম, এই মাঠে তোমার ৯৫ রানের ইনিংস আছে। তখন তুমি খুব চাপে ছিলে। এখন তো ভালো সময়, দল তোমার দিকে আরও বেশি করে তাকিয়ে। হাউ ডু ইউ থিংক অ্যাবাউট ইট?”

শেষ অংশটুকু আবার ইংরেজিতে বললেন কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেকে নকল করে।

তামিমের মুখে এবার অসহায়ের হাসি, “অধিনায়ক হয়ে আমাকে এভাবে প্রেশার দিলেন!” 

কিন্তু মাশরাফির হাত থেকে কী নিস্তার আছে! সংবাদ সম্মেলনের আর দশটা প্রশ্নের মতোই গুরুত্ব দিয়ে উত্তর দিতেই হলো তামিমকে।

“আমার কাছে মনে হয়, কোনো মাঠে ভালো করার ইতিহাস থাকলে অবশ্যই ভালো ব্যাপার। তার মানে এটাই না যে আবার নেমে আরেকবার ৯৫ সাথে সাথে হয়ে যাবে। শূন্য রানেও আউট হতে পারি। নতুন ম্যাচে শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়।”

২০১৫ বিশ্বকাপে এই নেলসনেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩১৮ রান তুলেছিল স্কটল্যান্ড। তামিমের ৯৫ রানের দারুণ ইনিংসে জিতেই মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ।

সেই ইনিংস নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের নাটক শেষ হলো হাসির হুল্লোড়ে। এবার ২২ গজেও যদি হাসে তামিমের ব্যাট, হাসবে হয়ত গোটা বাংলাদেশই!