মাশরাফির আক্ষেপ সাকিবের আউট

সাড়ে তিনশ’ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য তাড়ায় টপ অর্ডার এনে দিতে পারেনি ভালো সূচনা। তবে সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করছেন, বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত থাকলে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের চিত্রটা ভিন্ন হতেও পারতো।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2016, 08:48 AM
Updated : 26 Dec 2016, 08:48 AM

ক্রাইস্টচার্চে শেষ পর্যন্ত ৭৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের আউট নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানান মাশরাফি।

“সাকিব শেষ পর্যন্ত থাকলে...উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য যতটা সহজ ছিল, অন্যরকম কিছু হতে পারত। ওই সময় সাব্বিরও আউট হয়ে গেছে। দুই বিগ হিটার আউট হয়ে যাওয়ায় কাজটা কঠিন হয়ে যায়।”

৫৪ বলে ৫টি চার আর দুটি ছক্কায় ৫৯ রান করেন সাকিব। সাব্বির ফিরেন একটি ছক্কায় ১৬ রান করে। দুই ব্যাটসম্যানের আউটের ধরনে বেশ মিল রয়েছে। লকি ফার্গুসনকে ছক্কা হাঁকিয়ে দুই জনই ফিরেন পরের বলে ক্যাচ দিয়ে।

১৬৭ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন। জুটির অর্ধশতক হওয়ার পরই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিকের। সঙ্গীর অভাবে দলকে বেশি দূর নিতে পারেননি মোসাদ্দেক।

“মুশফিক ও সৈকত (মোসাদ্দেক) যখন ছিল, এক পর্যায়ে ৮৪ বলে ১৪০ লাগত। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মত। তখন মুশফিকের চোট সমস্যা করল। না হলে হয়ত আমরা ৩০০-৩১০ পর্যন্ত গিয়ে তার পর কিছু করার চেষ্টা করতাম।”

৪৮ বলে ৪২ রান করে আহত হয়ে অবসর নেন মুশফিক, এদিন আর ব্যাটিংয়ে নামেননি এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক পাওয়া মোসাদ্দেক ৪৪ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে।

সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ক্রাইস্টচার্চে ৭ উইকেটে ৩৪১ রান করে নতুন রেকর্ড গড়ে কেন উইলিয়ামসনের দল। ১৯৯০ সালে শারজায় দুই দলের প্রথম দেখায় ৪ উইকেটে ৩৩৮ রান করেছিল নিউ জিল্যান্ড। ২৬ বছর ধরে সেই রানই ছিল সর্বোচ্চ।

শতক পাওয়া টম ল্যাথাম ও অর্ধশতক করা কলিন মানরো- দুই ব্যাটসম্যানই খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তাদের দুজনের ১৫৮ রানের জুটি যে কোনো উইকেটেই বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ। মাশরাফি মনে করেন, এই জুটিতেই ম্যাচ কঠিন হয়ে যায়।

“আমরা জানতাম, (মার্টিন) গাপটিল ও মানরো অনেক মারতে পারে। উইলিয়ামসন ও ল্যাথাম অনেকটা উইকেট আগলে খেলে। কিন্তু ল্যাথাম নিজের সেরা খেলাটা খেলেছে। আর মানরো আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেছে।

“আমরা ওদের ৩০০-৩১০ রানে আটকে রাখতে পারলে ম্যাচটি অন্যরকম হতে পারত। ৮১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও আমরা ২৬০ ছাড়াতে পেরেছি। সাকিব ও মুশি দারুণ ব্যাট করছিল, শেষে সৈকতও ভালো করেছে। ৩০০ রানে আটকে রাখতে পারলে তাই সম্ভাবনা ছিল।”