ব্যাটসম্যানরা শুরুতে তাড়াহুড়ো করেছে: মুশফিক

শুরুতেই দ্রুত উইকেট হারিয়ে পেছনে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ফেরা ছিল কঠিন। সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে মুশফিকুর রহিমের আক্ষেপ, অন্তত ২০ রান কম হয়েছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2016, 03:29 PM
Updated : 16 Dec 2016, 04:15 PM

সিডনিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ সিডনি সিক্সার্সকে হারালেও পরের ম্যাচে শুক্রবার থান্ডারের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। স্পটলেস স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল মাত্র ১২২ রান।

মেঘলা আকাশ ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় আগে ব্যাট করা একটু কঠিনই ছিল। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে এই ম্যাচের অধিনায়ক মুশফিক বলেছিলেন, অনুশীলনের জন্যই আগে ব্যাট করতে চায় দল।

তবে উইকেট-কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সেটি নিয়ে আক্ষেপ করলেন অধিনায়ক।

“এই উইকেটে ২০ রানের মত ঘাটতি ছিল আমাদের। জানতাম এই উইকেটে ব্যাট করা কঠিন। তার পরও আমরা আমাদের ব্যাটসম্যানদের শুরুতে একটু চাপে ফেলে পরখ করে দেখতে চেয়েছিলাম।”

“আমাদের ব্যাটসম্যানরা শুরুতে একটু তাড়াহুড়ো করেছে। প্রথম ৬ ওভারে অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। এরপর ফেরা কঠিন ছিল। তার পরও সোহান ও শুভাগত ভালো করেছে। বোলাররাও এই উইকেটে ছিল ঠিকঠাক।”

প্রথম ৭ ওভারে ৪ উইকেটে ২১ রান ছিল বাংলাদেশের। এরপর নুরুল হাসান সোহান করেন ৩৫, শুভাগত হোম ২৫।

নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ছাড়াও এই ম্যাচে খেলেনি সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ। দুদলেরই বেশ কজন নিয়মিত ক্রিকেটার না খেলার কথা উল্লেখ করলেন মুশফিক।

“আমাদের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার আজকে খেলেনি। খেললে অন্যরকম হতে পারত। তবে ওদেরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার খেলেনি। ওয়াটসন খেলেনি, বিদেশি ক্রিকেটার খেলেনি। ওরা বিগ ব্যাশের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, ওদের যে শুভকামনা যেন এবারও শেষ পর্যন্ত যেতে পারে।”

সিক্সার্সের বিপক্ষে ম্যাচের মত এ দিনও সাধারণ এই প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী। এই ম্যাচ তাদের হতাশ করলেও আশার কথাও শোনালেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।

“২০১৫ বিশ্বকাপেও যখন এসেছিলাম, দেখেছি বাংলাদেশের সমর্থকরা ভিড় করেছেন এবং সমর্থন জুগিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা আজ জিততে পারিনি। আশা করি, নিউ জিল্যান্ডে কিছু ম্যাচ জিতব।”

“দেশের মাটিতে আমরা খুব ভালো খেলছি। এখন দেশের বাইরে ভালো খেলাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। খুব সহজ হবে না, আবার খুব কঠিনও নয়। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই আমরা একটু আগেভাগে এসেছি। আশা করি, ছেলেরা এখান থেকে আত্মবিশ্বাস বয়ে নিয়ে যাবে এবং নিউ জিল্যান্ডে ভালো করবে।”

আগামী সোমবার সিডনি থেকে নিউ জিল্যান্ডে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের।