ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুম্বাই টেস্টের চতুর্থ দিনে সেঞ্চুরি করেছেন জয়ন্ত। দিন শুরু করেছিলেন ৩০ রান নিয়ে। প্রথম সেশনে শট খেলেছেন ও রান করেছেন বিরাট কোহলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। লাঞ্চে গিয়েছিলেন ৯২ রান নিয়ে। লাঞ্চের পরপরই ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্ক।
ভারতের হয়ে নয়ে নেমে আগের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছিলেন ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। সেই ১৯৬৫ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে ৯০ করেছিলেন স্টাইলিশ এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
১৯৯৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারের কাছাকাছি গিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। ভারতের এখনকার কোচ, সাবেক লেগ স্পিনার ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ৮৮। ১৯৭৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই মুম্বাইয়েই ৮৬ করেছিলেন বাঁহাতি পেসার কারসন গাভরি।
জয়ন্তর অভিষেক হয়েছে চলতি সিরিজেই। প্রথম টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবিন্দ্র জাদেজার পাশে ভারতের তৃতীয় স্পিনার ছিলেন অমিত মিশ্র। এই লেগ স্পিনার সুবিধা করতে না পারায় দ্বিতীয় টেস্টেই অভিষেক হয় জয়ন্তর।
বোলিংও যথেষ্টই ভালো করছেন। অশ্বিন-জাদেজাদের পাশে উইকেট নেওয়া বা লম্বা স্পেলে বোলিং করার সুযোগ মিলছে কমই। তার পরও আগের ২ টেস্টে নিয়েছেন ৮ উইকেট। আর দারুণ ধারাবাহিক ব্যাট হাতেও। অভিষেকে দুই ইনিংসে করেছিলেন ২৭ ও ৩৫। পরের টেস্টে একমাত্র ইনিংসে ৫৫। এবার আরও এগিয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি।
টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ১২৩ বছরে নয়ে নেমে সেঞ্চুরি ছিল মাত্র ৮টি। ২০০১ সাল থেকে এই ১৬ বছরেই হলো আরও ৮টি। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক করেছেন দুটি। নয়ে নেমে একাধিক সেঞ্চুরির কীর্তি আছে কেবল সাবেক এই প্রোটিয়া অধিনায়কেরই।
বাংলাদেশেরও একজন আছেন এই তালিকায়। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় নয়ে নেমে ১১১ করেছিলেন মোহাম্মদ রফিক।
শুধু সেঞ্চুরিতেই নয়, বিরাট কোহলির সঙ্গে মিলিয়ে জুটির রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন জয়ন্ত। অষ্টম উইকেটে দুজনের ২৪১ রানের জুটি ভারতের ইতিহাসের সেরা। আগের সর্বোচ্চ ১৬১ ছিল মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও কুম্বলের, ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইডেনে।
শেষ পর্যন্ত ১০৪ রানে আউট হয়েছেন জয়ন্ত। কোহলি করেছেন ২৩৫।