সেই উদযাপন দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকটা সময়। শুরুর দিকে একটি ম্যাচ খেলে উইকেট পাননি উইলিয়ামস। আর খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। মোহাম্মদ সামির চোটে সুযোগ পেলেন প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে। ২ উইকেট নিলেন ১১ রানে, খানিকটা দেখা গেল তার ‘সেলফি’ উদযাপন। মঙ্গলবার এলিমিনেটরে তার বোলিং ও উদযাপন, দুটোই ছিল আপন মহিমায় উদ্ভাসিত।
উদযাপনে নিজেরা মেতেছেন, গ্যালারি মাতিয়েছেন। পরে সংবাদ সম্মেলনেও এই দুজন এলেন একসঙ্গে। দুজনের ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের আগে উঠল উদযাপনের প্রসঙ্গ। হাসিমুখে স্যামি জানালেন এই উদযাপনের জন্ম রহস্য।
“আমরা সবাই ছবি তুলতে পছন্দ করি। ছেলেদের ইনস্টাগ্রাম পাতায় গেলেই দেখতে পাবেন, সবসময়ই নানা পোজে ছবি আছেই। তো ক্রিকেটেও কেন নয়! ভালো খেললে উদযাপনটাও প্রাণখোলা হয়। ভেবে দেখুন, সেলফি তোলার সময় লোকে কতটা উৎফুল্ল থাকে! আমাদের ব্যাপারটিও তাই।”
দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের মতে, এই ধরনের উদযাপন দলকে দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করে।
“আমরা চাই একটা দল হিসেবে খেলতে। এই রকম উদযাপনগুলো দলকে একতাবদ্ধ করে, ঐক্যের আবহ তৈরি করে। যেটির হাত ধরে ধরা দেয় সাফল্য। এই টুর্নামেন্টে আমরা এক সময় অনেক পিছিয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু টিম স্পিরিট ছিল বলেই ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।”
“দলই সব কিছুর আগে। তাই দলীয় ছবি তোলার উদযাপনই এগিয়ে। আমরা জিতি দল হিসেবে, ছবিও তুলি একটি দল হয়েই।”
মাঠের ক্রিকেট আর উদযাপন মিলিয়ে এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বিনোদনদায়ী দল হয়ত রাজশাহীই। এলিমিনেটরে জয় নিশ্চিত করেছে, আরও অন্তত একটি ম্যাচে পাওয়া যাবে এমন বিনোদন!