চোটই মাশরাফিকে অভ্যস্ত করেছে ছোট রান আপে

ক্যারিয়ার জুড়ে সামলাতে হয়েছে অসংখ্য চোট। মাসের পর মাস থেকেছেন মাঠের বাইরে। চলেছে দীর্ঘ পুনবার্সন প্রক্রিয়া। সেই সময়টায় প্রায়ই ছোট রান আপে বোলিং করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। রান আপ কমিয়ে বল করতে তাই খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না তার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2016, 01:42 PM
Updated : 2 Dec 2016, 01:42 PM

বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিকেই হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছে মাশরাফির। ঢাকায় ফেরার পর চার ম্যাচ খেললেন সেই চোট নিয়েই। চোটের কারণে শুক্রবার খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে বল করেছেন ছোট রান আপে। তাতেই কুমিল্লা অধিনায়ক ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে যেটি তার সেরা বোলিং।

চোট নিয়ে এর আগেও ছোট রান আপে বোলিং করেছেন মাশরাফি। গত বিপিএলে, গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে করেছেন। প্রতিবারই দারুণ ছিল পারফরম্যান্স। ছোট রান আপে যেন আরও বেড়েছে মাশরাফির বোলিংয়ের ধার।

এমনিতে মাশরাফির বোলিং রান আপ ২১ মিটার। ছোট করলে সেটা নেমে আসে ১২ মিটারে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা অধিনায়ক বললেন, ছোট রান আপও তার অভ্যাস হয়ে গেছে।

“এভাবে বল করতে আমার সমস্যা হয় না। আমি সবসময় ছোট রান আপে প্র্যাকটিস করি নেটে। আমার যখন ৮ মাস, ৯ মাস ইনজুরি ছিল, ৬ মাস ছোট রান আপেই বোলিং করেছি। কমপক্ষে ৪ মাস তো করেছিই। ওই অভ্যাসটা আমার আছে।”

অভ্যাসটা থাকায় মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না। তবে বোলিংয়ের ধার ধরে রাখার ব্যাপারটিও আছে। মাশরাফি সেটির ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যাও দিলেন।

“রান আপ কমালেও আমার কাঁধের ব্যবহারটা কমে না। হাত ও কাঁধের স্পিড ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন ছোট রান আপে অনুশীলন করেছি, তখন কিন্তু হাতের স্পিড, সুইং ঠিকই থেকেছে। শর্ট রান আপে সমস্যা হয় স্লোয়ার করতে আর ইয়র্কার করতে। এই দুটির জন্য বড় রান আপ দরকার। আমার আরেকটা সুবিধা হচ্ছে, শর্ট রানআপে বল করলেও আমার পেস প্রায় একই থাকে।”

এমনিতে কাটারের ওপর বেশি নির্ভর করলেও ছোট রান আপে সিমিং ডেলিভারিই বেশি দেখা যায় মাশরাফির হাত থেকে। দুই দিকে সুইংও পান। সেটির ব্যাখ্যাও দিলেন মাশরাফি।

“ছোট রান আপে করলে সিম আপ ডেলিভারি করতে আমার সুবিধা হয়। এটা স্রেফ প্র্যাকটিসের কারণে। যে কোনো প্র্যাকটিসে বোলিং করার সময় আমি এমনিতেই ২০-২২ বল সিম রিলিজ করি। তাহলে আমার ভেতরে ফিল ভালো হয়। এটা অভ্যাসের ব্যাপার।”