শেষ সেশনে ৯ উইকেট নিয়ে হ্যামিল্টন টেস্টে পাকিস্তানকে ১৩৮ রানে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ২ টেস্টের সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। কাটিয়েছে প্রায় ৩২ বছরের জয় খরা!
সেই ১৯৮৫ সালের শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড। তারপর থেকে দেশের মাটিতে বা বাইরে ১২টি সিরিজে অধরা ছিল জয়। ৭টি সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান, ৫টি হয়েছিল ড্র। কেন উইলিয়ামসনের দল বদলে দিল এই ধারা। দেশের মাটিতে প্রথম সিরিজেই জয়ের স্বাদ পেলেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন।
জয়ের জন্য মঙ্গলবার শেষ দিন পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩৬৮ রান। প্রায় অসম্ভব সেই লক্ষ্যের পেছনে ছোটেনি পাকিস্তান। আজহার আলি ও সামি আসলামের ব্যাটে ছিল ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা। চোয়ালবদ্ধ ব্যাটিংয়ে দারুণ ভিত্তি গড়ে দিতে পেরেছিলেন দুই ওপেনার।
দুজন উইকেটে কাটিয়ে দেন ৬০ ওভার! রান ওঠেনি, তবে ড্রয়ের পথ তুলে দেন দলকে। আজহারকে বোল্ড করে ১৩১ রানের জুটি ভাঙেন মিচেল স্যান্টনার। সোয়া চার ঘণ্টা উইকেটে থেকে ৫৮ রান করেন পাকিস্তানের এই ম্যাচের অধিনায়ক।
আসলাম টিকে ছিলেন তখনও। প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করা বাবর আজমও ছিলেন টিকে। চা বিরতিতে পাকিস্তানের রান ছিল ১ উইকেটে ১৫৮।
চা বিরতির পর প্রথম ওভারেই বাবরকে ফেরান সেই স্যান্টনার। ৫ ঘণ্টা লড়াই করে ২৩৮ বলে ৯১ রান করা আসলাম মিড অফে ক্যাচ দেন টিম সাউদির বলে।
ধসটা তখনও অনুমান করা যায়নি। দ্বিতীয় নতুন বল নিউ জিল্যান্ডের জন্য কাজ করল জাদু মন্ত্রের মতো। ধরা দিল একের পর এক উইকেট। দু:স্বপ্নের মত সিরিজ কাটানো ইউনিস খান ব্যর্থ আবারও। শেষ ৮ উইকেট হারাল পাকিস্তান ৪৯ রানে!
৬ বলের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে লেজটা ছেটে দেন নিল ওয়াগনার। আবেগ খুব একটা স্পর্শ করে না যাকে, সেই কেন উইলিয়ামসনের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিল, কিউইরা কতটা চাইছিল এই জয়!
প্রথম ইনিংসে ৬টিসহ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা টিম সাউদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৭১
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২১৬
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩১৩/৫ (ইনিংস ঘোষণা)
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৯২.১ ওভারে ২৩০ (আসলাম ৯১, আজহার ৫৮, বাবর ১৬, সরফরাজ ১৯, ইউনুস ১১, শফিক ০, রিজওয়ান ১৩*, সোহেল ৮, আমির ০, ওয়াহাব ০, ইমরান ০; সাউদি ২/৬০, হেনরি ১/৩৮, ওয়াগনার ৩/৫৭, স্যান্টনার ২/৪৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/১৭, উইলিয়ামসন ০/২)।
ফল: নিউ জিল্যান্ড ১৩৮ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজ নিউ জিল্যান্ড ২-০তে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: টিম সাউদি