শাহজাদের ঘটনা মেনে নেওয়ার মত নয়: স্যামি

সাব্বির রহমানকে ব্যাট দিয়ে মোহাম্মদ শাহজাদের খোঁচা মারার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ড্যারেন স্যামি। রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক বলছেন, তিনি শাহজাদকে বোঝাবেন যে ক্রিকেট মাঠে এসব কখনোই প্রত্যাশিত নয়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2016, 04:58 PM
Updated : 29 Nov 2016, 05:25 AM

সোমবার রাজশাহী কিংস ও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচের এই ঘটনা নিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। রংপুরের প্রতিনিধি হয়ে আসা আরাফাত সানি জানান, ঘটনার সময় তিনি কাছাকাছি ছিলেন না বলে ভালো করে বলতে পারবেন না। তার বিশ্বাস, শাহজাদ ভুল কিছু করেননি।

তবে স্যামি কোনো রাখঢাক করেননি। রাজশাহী অধিনায়ক সরাসরিই জনিয়েছেন নিজের ভাবনা।

“আমি আমার ক্রিকেটারকে পড়ে থাকতে দেখেছি। নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে। আমার ক্রিকেটারের মিথ্যে বলার কোনো কারণ নেই। ক্রিকেট মাঠে এ রকম কিছু প্রত্যাশিত নয়। আমরা ক্রিকেট এভাবে খেলি না, খেলার পরিস্থিতি যেমনই হোক।”

ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের শুরুর দিকেই। সাব্বির ব্যাটিংয়ে যাওয়ার পরই হয়ত উইকেটের পেছন থেকে কিছু একটা বলেছিলেন শাহজাদ। জবাব দিতে দেখা যায় সাব্বিরকেও।

এক পর্যায়ে ব্যাটিং ক্রিজ ছেড়ে উইকেটের পেছনে শাহজাদের দিকে এগিয়ে যান সাব্বির। মুখোমুখি হয়ে বিতণ্ডায় জড়ান দুজন। আম্পায়ার ছুটে এসেও আলাদা করতে পারছিলেন না দুজনকে। পরে রংপুরের সোহাগ গাজী এসে টেনে নিয়ে যান সাব্বিরকে। শাহজাদকে সরিয়ে নেন সতীর্থরা।

পরে ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগেও চলতে থাকে সেটির রেশ। মোহাম্মদ সামির দারুণ এক শর্ট বলে ক্যাচ দেন শাহজাদ। আফগান ক্রিকেটার যখন ফিরছেন ড্রেসিং রুমে, পাশ দিয়েই সাব্বির সতীর্থদের দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন উদযাপনে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, হাঁটতে হাঁটতেই ব্যাট বাড়িয়ে সাব্বিরের হাতে খোঁচা মেরে বসেন শাহজাদ। পরমুহূর্তেই আবার ‘শ্যাডো’ করার ভঙ্গিতে ব্যাট নাড়াতে থাকেন। হাতে আঘাত লাগার পর সেই জায়গা ধরে সাব্বিরের বসে পড়াটাও ছিল নাটকীয়।

সাব্বিরের রাজশাহী সতীর্থরা ঘটনা বুঝতে বুঝতে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান শাহজাদ। রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি সেদিকে এগিয়ে যান সতীর্থদের নিয়ে। মাঠ থেকেই চিৎকার করে বলতে থাকেন কিছু। পেছন ফিরে তাকিয়ে জবাব দেন শাহজাদও।

তখন কি বলছিলেন, সংবাদ সম্মেলনে সেটি জানালেন স্যামি। বললেন, শাহজাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

“আমি ওকে বলতে যাচ্ছিলাম যে এসব পুরোপুরি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি ওকে চিনি। আমরা ভালো বন্ধু। একসঙ্গে পিএসএলে খেলব আমরা। সবসময়ই ভালে বন্ধু ছিলাম। তবে আমি বিশ্বাস করি, ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক, ক্রিকেট মাঠে নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।”

“সাব্বির যা বলছে, সেটা যদি সে করে থাকে, তাহলে অবশ্যই এটা ক্রিকেট মাঠে অপ্রত্যাশিত। আমরা এখনও বন্ধু। একই হোটেলে থাকছি। আমি অবশ্যই ওর সঙ্গে কথা বলব। নেতা হিসেবে আমি বলব যে এটা মেনে নেওয়ার মত নয়। আমার দলে যখন খেলবে, কখনোই এই ধরনের কিছু মাঠে সে করতে পারবে না।”