মিরাজের সামর্থ্য নিয়ে সংশয় নেই স্যামির। বাংলাদেশে আসার আগে থেকেই বলেছেন, এই তরুণ হবেন তার অন্যতম সেরা অস্ত্র। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে ১৩ রান দেওয়ায় বিকল্প খুঁজছিলেন অধিনায়ক।
“আমি যাব নাকি মোহাম্মদ সামিকে বোলিংয়ে আনবো এনিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। সাব্বির এগিয়ে এসে বলে, আমাদের উইকেট দরকার। মিরাজ উইকেট টেকার, ওকেই আক্রমণে রাখতে। ও বলছিল, উইকেট নিতে সেই সেরা অপশন হবে।”
“প্রথম দুই বলে যখন ছক্কা হল তখন মনে হয়েছিল, আমার ‘গাট ফিলিং’ এর ওপর নির্ভর করাই ভালো ছিল। কিন্তু যখন উইকেট পেলাম...। এটা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। নিকোলাস ১০ থেকে আস্কিং রেট ৮-এ নামিয়ে এনেছিল।”
১৪তম ওভারে পুরান আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আসেন কেভন কুপার। স্যামি মনে করেন, সেই উইকেটই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।
“ম্যাচ শেষে সাব্বিরকে বলেছিলাম, তোমাকে ধন্যবাদ। আমার সিদ্ধান্ত ভুলও হতে পারতো। অধিনায়ক হিসেবে আমি সব সময়ই উন্মুক্ত। প্রয়োজনের সময় এভাবে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের এগিয়ে আসাটা দারুণ ব্যাপার।”
দুই দলের প্রথম দেখায় শেষ ওভারে তালগোল পাকিয়ে হেরেছিল রাজশাহী। এবার স্যামির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ রানে জিতে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে শেষ চারের লড়াইয়েও ভালোভাবে টিকে থাকলো দলটি।