বেয়ারস্টোর লড়াইয়ের পরও ভারতের দিন

মোহালি টেস্টের প্রথম দিন বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করলেন ভারতের ফিল্ডাররা। কিন্তু জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। দিনের অনেকটা সময় একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেছেন জনি বেয়ারস্টো, তবে তা যথেষ্ট হলো না। বাকিদের প্রায় সবাই উইকেট ছুড়ে আসায় প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিতে পারেনি অতিথিরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2016, 12:22 PM
Updated : 26 Nov 2016, 01:26 PM

তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৮ রান। আদিল রশিদ ৪ ও গ্যারেথ ব্যাটি শূন্য রানে ব্যাট করছেন।

৫১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে পথ দেখান পাঁচ নম্বরে নামা বেয়ারস্টো। বেন স্টোকস ও জস বাটলারের সঙ্গে পঞ্চাশ পেরুনো দুটি জুটি গড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ছোট হলেও ক্রিস ওকস ও মইন আলির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আরও দুটি জুটি হয় তার। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৯ রান করেন তিনি।

শনিবার পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল সতর্ক। তার মধ্যেও সুযোগ তৈরি করেন মোহাম্মদ সামি। কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় এই পেসারের বলে ৩ ও ২৩ রানে জীবন পান অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক।

উমেশ যাদবের দারুণ এক বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হামিদ হাসিব। ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র তিনিই নিজের উইকেট ছুড়ে আসেননি।

পানি বিরতির পর প্রথম বলেই ফিরেন জো রুট। জয়ন্ত যাদবের বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ইংল্যান্ডের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

কুককে জীবন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই অফ স্পিনারের সাদামাটা বলে উইকেটরক্ষক পার্থিব প্যাটেলের গ্লাভসবন্দি হন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। মাত্র ৭ বলের মধ্যে রুট-কুককে হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই ফিরেন মইন আলি।

চার নম্বরে উঠে আসা ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পা দেন স্বাগতিকদের ফাঁদে। শামির বাউন্সারে ফাইন লেগে মুরালি বিজয়ের তালুবন্দি হন তিনি।

লাঞ্চের আগেই চার উইকেট হারানো ইংল্যান্ড প্রতিরোধ গড়ে জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকসের ব্যাটে। পঞ্চম উইকেটে এই দুই জনে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। তাদের ব্যাটে যখন ইংল্যান্ড ভালো অবস্থানের দিকে যাচ্ছে তখনই হঠাৎ এগিয়ে এসে স্টাম্পড হয়ে ফিরেন স্টোকস।

বেন ডাকেটের বদলে এই টেস্টে খেলা বাটলার খেলছিলেন দারুণ। চলতি বছর মাত্র নিজের দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই ব্যাটসম্যান ষষ্ঠ উইকেটে বেয়ারস্টোর সঙ্গে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। তাদের দৃঢ়তায় এক সময়ে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ২১৩/৫। সেখান থেকে সাড়ে তিনশ-চারশ’ রানে চোখ ছিল অতিথিদের।

অর্ধশতকের দিকে এগিয়ে যাওয়া বাটলার জাদেজার বলে বিরাট কোহলিকে সহজ ক্যাচ দিলে দিক হারায় ইংল্যান্ড। ৫৪ রানে একবার জীবন পাওয়া বেয়ারস্টো আবারও বেঁচে যায় পার্থিব ক্যাচ ছাড়লে। অবশ্য পরের বলেই ইংলিশ উইকেটরক্ষককে এলবিডব্লিউ করেন জয়ন্ত যাদব।

দ্বিতীয় নতুন বলে ক্রিস ওকসকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের তিনশ’ রানকেই এখন দূরের পথ বানিয়ে ফেলেছেন উমেশ।  

ভারতের উমেশ, জাদেজা ও জয়ন্ত দুটি করে উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৬৮/৮ (কুক ২৭, হামিদ ৯, রুট ১৫, মইন ১৬, বেয়ারস্টো ৮৯, স্টোকস ২৯, বাটলার ৪৩, ওকস ২৫, রশিদ ৪, ব্যাটি ০*; শামি ১/৫২, উমেশ ২/৫৮, জয়ন্ত ২/৪৯, অশ্বিন ১/৪৩, জাদেজা ২/৫৬)