শুক্রবার বুলাওয়ায়োর কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের ইনিংসের একাদশ ওভারে বৃষ্টি নামলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য এক ওভার কমে।
লক্ষ্য তাড়ায় ২৭ ওভার ৩ বলে ৫ উইকেটে ১২৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃষ্টির দাপটে সেখানেই খেলার সমাপ্তি হয়। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে তখন জয়ের জন্য অতিথিদের দরকার ছিল ১৩০ রান।
দুই দলের প্রথম ম্যাচ হয়েছিল ‘টাই’। এই জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এল জিম্বাবুয়ে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে বিদায় নিল জেসন হোল্ডারের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১২ রানের মধ্যে এভিন লুইস ও জনসন চার্লসকে ফিরিয়ে দেন টেন্ডাই চিশোরো।
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট, শাই হোপ ফিরেন থিতু হয়ে। রোভম্যান পাওয়েল ফিরেন এক অঙ্কেই। জোনাথন কার্টার ও হোল্ডার দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেয় বৃষ্টি।
দুটি করে উইকেট নেন চিশোরো ও শন উইলিয়ামস।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৮৯ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ডোনাল্ড টিরিপানোর সঙ্গে ৩৮ রানের জুটিতে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন সিকান্দার রাজা। টিরিপানোর বিদায়ের পর অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে চিশোরোর সঙ্গে ৯১ রানের দারুণ এক জুটিতে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন রাজা।
তিনটি চারে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। ম্যাচ সেরা চিশোরো দুটি করে ছক্কা-চারে করেন অপরাজিত ৪২ রান। তাদের শেষের ব্যাটিংই ব্যবধান গড়ে দেয় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যাশলি নার্স ও দেবেন্দ্র বিশু তিনটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৪৯ ওভারে ২১৮/৮ (চারি ১৯, চিবাবা ৯, মাসাকাদজা ২০, আরভিন ৭, রাজা ৭৬*, উইলিয়ামস ০, মুর ১৩, ক্রেমার ১, টিরিপানো ১৫, চিশোরো ৪২*; কামিন্স ০/৪০, হোল্ডার ২/৫৮, বিশু ৩/৩০, নার্স ৩/২৭, কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট ০/৫২, কার্টার ০/৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৭.৩ ওভারে ১২৪/৫ (লুইস ৯, চার্লস ০, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট ২৪, হোপ ১৪, কার্টার ৪৩*, পাওয়েল ৬, হোল্ডার ২২*; চিশোরো ২/২৩, রাজা ০/২৬, উইলিয়ামস ২/১৮, ক্রেমার ০/২৮, পোফু ০/২৪)
ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ে ৫ রানে জয়ী