বাংলাদেশের মেয়েদের লক্ষ্য ভারতকে হারানো

ছেলেদের ক্রিকেটে এখন ভারতের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ। দুদল মুখোমুখি হলেই মাঠের ভেতরে-বাইরে ছড়ায় উত্তেজনার বারুদ। মাঠের ক্রিকেটও হয় জমজমাট। তবে মেয়েদের ক্রিকেটের গল্পটি অন্যরকম। ভারত এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এবার অচেনা সেই স্বাদ পেতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা। এশিয়া কাপে হারাতে চায় ভারতকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2016, 03:08 PM
Updated : 23 Nov 2016, 03:09 PM

এশিয়া কাপ ক্রিকেট খেলতে বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হবে টুর্নামেন্ট। নতুন অধিনায়ক রুমানা আহমেদ ও নতুন কোচ ডেভিড ক্যাপেল দায়িত্ব নেওয়ার পর মেয়েদের প্রথম টুর্নামেন্ট এটিই। নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট বয়ে আনতে চায় নতুন সাফল্য।

বুধবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়রক রুমানা বললেন, ভারতকে হারানোর লক্ষ্য পূরণ হলে ধরা দিতে পারে আরও বড় সাফল্য।

“অনেক উন্নতি করেছি আমরা। মূল লক্ষ্য ভারতকে হারানো। যদি ভারতকে হারাতে পারি, আশা করি ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারব।”

ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও কোনো জয় নেই মেয়েদের। ৩ ওয়ানডে ও ৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে হেরেছে সবকটিই। এশিয়ার অন্য দুই বড় প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড একটু ভালো। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ টি-টোয়েন্টির সবকটি হারলেও ওয়ানডে ৬টির মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ২টি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টির দুটিই জিতেছে বাংলাদেশ, ওয়ানডে এখনও খেলেনি।

শুধু রেকর্ডে নয়, শক্তি-সামর্থ্যেও অনেকটা এগিয়ে ভারত। তবে জয়টা অসম্ভব ভাবছেন না রুমানা।

“বিস্ময়কর অনেক কিছুই ঘটতে পারে। আমাদের দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ওখানে কোনো দুর্বল দল নেই। সব দলই শক্তিশালী, আমরাও নিজেদের দুর্বল ভাবছি না।”

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ বরাবরই ভুগছে ব্যাটিংয়ে। বোলিং সময়ের সঙ্গে যতটা উন্নতি করেছে, ব্যাটিংয়ে হয়নি ততটা। তবে এবার ব্যাটিং নিয়েও আশাবাদী নতুন অধিনায়ক।

“অনুশীলনে আমরা ব্যাটিংয়ে জোর দিয়েছি। দলের ৬-৭ জন ব্যাটার ভালো ফর্মে আছে। আমি আশাবাদী ব্যাটিংয়েও দল অনেক ভালো করবে।”

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াও মেয়েদের এশিয়া কাপে অংশ নেবে স্বাগতিক থাইল্যান্ড ও নেপাল।

শনিবার ব্যাংককে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রতিদিন হবে দুটি করে ম্যাচ। ৬ দল পরস্পরের সঙ্গে খেলবে একবার করে। ফাইনাল ৪ ডিসেম্বর।