৬ ম্যাচে মাত্র ৭৭ রান করেছেন সৌম্য। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ছয় ইনিংস খেলেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সৌম্যর চেয়ে কম রান করেছেন কেবল উমর আকমল (৬৩) ও শুভাগত হোম চৌধুরী (৫৮)।
একই সময়ে ৫১.৫০ গড়ে শাহজাদ করেছেন ২০৬ রান। পেয়েছেন দুটি অর্ধশতক, সেরা অপরাজিত ৮০। চার ইনিংসে আউটই হননি মিঠুন। ৯১.৫০ গড়ে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান করেছেন ১৮৩ রান। তার একমাত্র অর্ধশতকটি ৬২ রানের।
জাতীয় দলেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না সৌম্যর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে স্কোয়াডে থাকলেও কোনো ম্যাচে খেলা হয়নি তার। বাজে সময় পেছনে ফেলতে এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তাকিয়ে বিপিএলের দিকে। তবে এখন পর্যন্ত চেনা চেহারায় দেখা যায়নি তাকে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জেতা ম্যাচে ৩ রান করে ফিরেন সৌম্য। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা জিয়া জানান, নিজেকে খুঁজে ফেরা এই তরুণের পাশে আছে পুরো দল।
“সৌম্য খুব ভালো খেলোয়াড়। সে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এটা মোটেও মাথায় নিচ্ছি না। ও ফ্রি আছে, ওকে কেউ কোনো চাপ দিচ্ছে না। ও খুব ভালো অনুশীলন করছে। আশা করি, সে খুব দ্রুত রানে ফিরবে।”
সৌম্য ভালো করতে না পারলেও শাহজাদ-মিঠুনের দৃঢ়তায় রংপুরের অন্য ব্যাটসম্যানদের খুব একটা কিছু করার সুযোগ মিলছে না। জিয়া জানান, দলের প্রয়োজনে নিজেকে মেলে ধরতে প্রস্তুত হয়ে আছে অন্য সদস্যরাও।
“নিচের কেউ ব্যাটিং পাচ্ছে না। কারণ, আমাদের বোলাররা খুব ভালো করছে। সঠিক জায়গায় এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করছে ওরা। এর পাশাপাশি আমাদের টপ অর্ডারের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে।”
“তবে আমাদের সবাই প্রস্তুত আছে। এমনকি আমিও এখন পর্যন্ত ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছি না। তবে মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি। যেদিন প্রয়োজন হবে সেদিন কিছু করতে পারবো। আমরা অনুশীলনে সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রংপুর।