শেষ তিন ওভারে চিটাগংয়ের দরকার ছিল ৩০ রান। অষ্টাদশ ওভারের প্রথম তিন বলে চার রান দিয়েছিলেন মোহাম্মদ শরীফ। পরের বলে কোনো হওয়ার কথা নয়, পয়েন্টে হাবিবুর রহমানের হাত ফস্কে হয়ে গেল চার। চাপটা আর থাকল না ব্যাটসম্যানদের ওপর। মেজাজ ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছিল শর্ট থার্ডম্যানে থাকা মাশরাফির।
মিস ফিল্ডিংয়ে চার দেওয়ার এটাই একমাত্র নজির নয়। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়কের কাঠগড়ায় থাকলো বাজে ফিল্ডিং।
“ব্যাটিং এই প্রথম আমরা যা চেয়েছি তাই করতে পেরেছি। কিন্তু মিস ফিল্ডিংয়ে আমরা পিছিয়ে দিয়েছে। বল একটু নীচু হলেও চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করেছে।”
ব্যক্তিগত ৬ রানে তামিম ইকবালকে জীবন দেন ইমরুল কায়েস। মাশরাফি মনে করেন, সে সময় উইকেট পেলে খেলার চিত্রটা ভিন্ন হতে পারতো। চিটাগংয়ের অধিনায়কও বলেছেন একই কথা।
“ডোয়াইন স্মিথ ভালো সূচনা এনে দেওয়া পর আমি আর এনামুল (হক) খুব সতর্ক ব্যাটিং করেছি। আমরা যত কম ঝুঁকি নিয়ে যতটা সম্ভব রান করেছি। ১০ ওভারে ৯০ রান করেছি। কিন্তু ওই সময়ে উইকেট গেলে আমরা হয়তো বিপদে পড়ে যেতাম।”
কুমিল্লার দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্য চার বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় চিটাগং।