বিপিএলে আগের দুই ম্যাচে চিটাগংয়ের একাদশে ছিলেন না এই ফাস্ট বোলার। ফিরেই দলের জয়ের অন্যতম নায়ক। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিলেন ৩১ রানে।
বিপিএলের চার আসরে সব মিলিয়ে এটি ষষ্ঠ ৫ উইকেট। বাংলাদেশের কোনো বোলারে তৃতীয়। আর এবারের আসরে দ্বিতীয়।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রাজশাহীর আবুল হাসান। গত আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে সিলেট সুপার স্টার্সের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন আল আমিন হোসেন।
২০১২ আসরে ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বিপিএলের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড মোহাম্মদ সামির। গত আসরে ১৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন কেভন কুপার। গতবারই থিসারা পেরেরা ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২৬ রানে।
এই ম্যচের আগে টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের সেরা বোলিং ছিল ৩১ রানে ৪ উইকেট। সেটিও নিয়েছিলেন চিটাগংয়ের হয়ে, রাজশাহীর বিপক্ষে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিল আলাদা। ২০১৩ আসরে চিটাগং কিংসের হয়ে দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও জিতেছিল দল।
এ দিন তাসকিনের ৪ ওভার ছিল তিন স্পেলে। উইকেট পেয়েছেন প্রতিটিতেই। নিজের প্রথম ওভারে ফেরান মুমিনুল হককে। ১৯১ রান তাড়ায় রাজশাহীর সূচনাটাও হয়েছিল দারুণ। ৪ ওভারে তুলেছিল তারা ৩৯ রান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তাসকিন চিটাগংকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রু।
আবার ত্রয়োদশ ওভারে আক্রমণে আসেন তাসকিন। উমর আকমল তখন ইঙ্গিত দিচ্ছেন ঝড় তোলার। তাসকিনের ওভারের প্রথম বলেও মারেন ছক্কা। কিন্তু দুই বল পর আকমলকে ফিরিয়েই নেন প্রতিশোধ।
ওই ওভারের শেষ বলে আবার ছক্কা হজম করেন সাব্বির আহমেদের ব্যাটে। কিন্তু শেষে আবার ফিরে আসেন দারুণভাবে। ১৮তম ওভারে টানা দু বলে ফেরান মিলিন্দা সিরিবর্ধনে ও মেহেদী হাসন মিরাজকে। শেষ ওভারে ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট!
পরের ৫ বলে আরেকটি উইকেট নিতে পারলে বিপিএলে ৬ উইকেট নেওয়ার প্রথম কীর্তি হতো। সেটা হয়নি। নিজের আর দলের প্রাপ্তির দিনে অবশ্য তাতে আক্ষেপ থাকার কথা নয় তাসকিনের!