দু প্লেসির বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ আইসিসির

মাত্রই দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ে। কিন্তু পরের টেস্টেই নিষিদ্ধ হতে পারেন ফাফ দু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছে আইসিসি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2016, 08:22 AM
Updated : 18 Nov 2016, 01:18 PM

দু প্লেসি অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেছেন সেই অভিযোগ। এখন তাই আনুষ্ঠানিক শুনানি হবে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে। শুনানির তারিখ এখনও জানায়নি আইসিসি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত হোবার্ট টেস্টের চতুর্থ দিনের টিভি ফুটেজ দেখে অনেকেই আঙুল তোলেন দু প্লেসির দিকে। ম্যাচ রেফারি তখন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাননি। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে টেম্পারিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর আইসিসি সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখার ঘোষণা দেয়। শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনার কথা জানায় আইসিসি।

ঘটনাটি হোবার্ট টেস্টের চতুর্থ দিন সকালের। অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে যেদিন ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সিরিজও নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মুখের লালা দিয়ে বল ঘষছেন দু প্লেসি। তখন তার মুখে জিহ্বায় ছিল ললি।

কৃত্রিম বস্তু ব্যবহার করে বলের অবস্থা পরিবর্তন করা সংক্রান্ত আইসিসি আচরণবিধির লেভেল ২ ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে দু প্লেসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ জরিমানা হতে পারে তার। এর পাশাপাশি কিংবা শুধু দুটি ‘সাসপেনশন পয়েন্ট’ পর্যন্ত পেতে পারেন দু প্লেসি, সঙ্গে যোগ হতে পারে তিনটি বা চারটি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’।

দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট পেলে একটি টেস্ট নিষিদ্ধ হবেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।

সাধারণত বেশি সুইং আদায় করতেই নানাভাবে বলের অবস্থা পরিবর্তন বা বিকৃত করা হয়। দু প্লেসির ফুটেজ যে ওভারের, সেই ওভারে কাগিসো রাবাদা উইকেট নিয়েছিলেন দুটি।

দু প্লেসির বিরুদ্ধে বল টেস্পারিংয়ের অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে ট্রাউজারের জিপার দিয়ে বল বিকৃত করার অভিযোগে ম্যাচ ফির ৫০ ভাগ জরিমানা করা হয়েছিল তাকে। পাশাপাশি পাঁচটি পেনাল্টি রান দেওয়া হয়েছিল প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে। সেবার দু প্লেসি অভিযোগ মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেম্পারিংয়ের অভিযোগও নতুন নয়। ২০১৪ সালের মার্চে এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিরুদ্ধে টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তুলে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ খুইয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।

সেই বছরের জুলাইতে নখ দিয়ে বল খুটিয়ে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা গুণেছিলেন ভার্নন ফিল্যান্ডার। সেবার এই পেসারও মেনে নিয়েছিলেন অভিযোগ।

চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার পেসার জস হেইজেলউড অভিযোগ করেছিলেন, রিভার্স সুইং পেতে ইচ্ছে করেই বারবার উইকেটে বল ছুঁড়েছেন প্রোটিয়ারা। এবার দু প্লেসির বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ।

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে ইসএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, প্রোটিয়া বোর্ডের বিশ্বাস, আইনের মধ্যে থেকেই বলে কাজ করেছিলেন দু প্লেসি।

তার ভাগ্য নির্ধারিত হবে এখন আনুষ্ঠানিক শুনানিতেই।