তামিমের উইকেটে চিটাগংয়ের ম্যাচ ‘হাতছাড়া’

তামিম ইকবালের ওপর অনেকখানি নির্ভর করে চিটাগং ভাইকিংস। থিতু হয়ে দলের এই সেরা খেলোয়াড়ের বিদায়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচ তাদের হাতছাড়া হয়েছে বলে মনে করছেন জহুরুল ইসলাম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2016, 01:39 PM
Updated : 17 Nov 2016, 01:39 PM

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকার দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৯ রানে হারে চিটাগং। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন জহুরুল, যিনি তামিমকে ক্রিজে রাখতে নিজের উইকেট বিসর্জন দিয়েছিলেন। উদ্বোধনী জুটিতে অধিনায়কের সঙ্গী জানান, তিনি মনে করেছিলেন ওই সময়ে তামিম ঝুঁকি নেবেন না। 

“আমার হিসেবে ম্যাচ হাতছাড়া হয় তামিমের উইকেটে। সে তখন উইকেটে খুব ভালোভাবে থিতু ছিল। আমি ধারণা করছিলাম, (ডোয়াইন) ব্রাভোর ওই ওভারের পর পঞ্চম বোলার আক্রমণে আসবে। আমি ভেবেছিলাম অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান ঝুঁকি নেবে, তামিম থেকে যাবে। আশা করেছিলাম, তামিম শেষ পর্যন্ত থাকবে।”

“তামিম তো অবশ্যই প্রধান খেলোয়াড়। তবে দল ওর ওপর নির্ভরশীল বলা যায় না। ও রান করলে দেখা যায় আমাদের ভালো সংগ্রহ হয়। অবশ্যই একজন মানুষের একার পক্ষে ম্যাচ জেতানো সম্ভব না।”

৩৫ বলে ২৬ রান করে আউট হন তামিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার ব্রাভোর স্টাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ঢাকাকে ১৪৮ রানে বেধে রাখায় দলের বোলারদের প্রশংসা করেন জহুরুল।

“আজকে আমাদের বোলাররা খুব ভালো করেছে। যদি ওরা এভাবে বল করে যেতে পারে, আর ব্যাটসম্যানরা যদি ফিরতে পারি তাহলে আশা করি, পরের ম্যাচগুলো জিততে পারব।”

হারের জন্য পুরোপুরি ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায় দিয়েছেন জহুরুল। তিনি মনে করেন, তাড়া করার মতোই লক্ষ্য পেয়েছিলেন তারা।

“আমাদের সমস্যা ব্যাটিংয়ে। এই উইকেটে ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করা সম্ভব ছিল।”

“প্রথম ৬ ওভারে আমরা পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে পারিনি। পাওয়ার প্লের ভেতরে একটা উইকেট হারিয়েছি। পাওয়ার প্লের পরের ওভারে আরেকটি উইকেট হারিয়েছি। আজ আমরা একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলেছি, তাই এটা বেশি হয়ে গেছে। উচিত ছিল আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা। শুরুতে আরেকটু হিসেবী ক্রিকেট খেলা।”

জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা চিটাগং এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হারলো। জহুরুল জানান, হারে থাকা দলের আত্মবিশ্বাসেও এখন ঘাটতি রয়েছে। ম্যাচেও যার প্রভাব পড়ছে।

“জিতলে অবশ্য চিত্রটা পাল্টে যাবে। একটি জয় মোমেন্টাম আমাদের দিকে নিয়ে আসবে।”