ব্যর্থতায় সরে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক

ইঙ্গিত খুব একটা ছিল না। বুধবার সকালেও শক্ত সমর্থন মিলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে। তবে ব্যর্থতার বোঝাটা মনে হয় একটু বেশি ভারী ঠেকছিল নিজের কাছেই। পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক রডনি মার্শ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2016, 08:36 AM
Updated : 16 Nov 2016, 10:08 AM

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আরেকটি সিরিজ হার ও আরও একবার বিব্রতকর ব্যাটিং ধসের পর এল এই ঘোষণা। বুধবারই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জরুরি বোর্ড সভার পর জানা যেতে পারে নতুন প্রধান নির্বাচকের নাম।

হোবার্টে সদ্য সমাপ্ত টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ৮ উইকেট ৩২ রানে হারিয়ে ম্যাচ হারে ইনিংস ব্যবধানে। নিশ্চিত হয় দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ হারও।

হোবার্টের শেষ দিনেই অন্য দুই নির্বাচক ট্রেভর হন্স ও মার্ক ওয়াহর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মার্শ। বুধবার সকালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানান, প্রধান নির্বাচকের কাজে তারা সন্তুষ্টই। মেয়াদ শেষে বাড়ানোর ব্যাপারেও আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এর পরপরই এল মার্শের পদত্যাগের খবর।

৬৯ বছর বয়সী সাবেক উইকেটকিপার জানালেন, সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত তার ভেতরের তাগিদ থেকেই।

“এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কেউ আমাকে চাপ দেয়নি বা বলেওনি যে আমার এমন করা উচিত। তবে স্পষ্ট ভাবেই এখন প্রয়োজন নতুন ও তরতাজা ভাবনা, যেমনটি প্রয়োজন আমাদের টেস্ট দলে নতুন মুখ আনা ও ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা।”

“অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্বার্থকেই সব সময় আমার হৃদয়ে লালন করেছি। সে কারণেই আমার এই সিদ্ধান্ত।”

কিংবদন্তি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নির্বাচক হওয়ার আগে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির কোচ হিসেবে। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটিতে জায়গা পেয়েছিলেন ২০১১ সালে। ২০১৪ সালের মে মাসে জন ইনভেরারিটির জায়গায় দায়িত্ব নেন নির্বাচক কমিটি চেয়ারম্যান হিসেবে।

তার দায়িত্বের সময় দেশের মাটিতে বেশ কটি সিরিজ জয়ের পাশাপাশি ২০১৫ বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এর মধ্যেই খুইয়েছে অ্যাশেজ, দেশের বাইরে হেরেছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। সবশেষ দেশের মাটিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার। বিব্রতকর সব ব্যাটিং ধসও গত কয়েক বছরে হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিংয়ের নিয়মিত চিত্র।