কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে সেরা খোলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যাটিং নিয়ে কথা বলেন।
“আমি খেলার সময় ব্যাটিং খুব সহজ মনে হয়? না, নামার সময় তো আমার শরীর কাঁপে। (ব্যাটিং) সহজ কিভাবে হয়?”
“যেদিন ব্যাটে লাগে সেদিন (বোলাররা কাঁপে) এমনটা হয়। দুয়েকটা শট ব্যাটে লাগার পর আর ভয়টা থাকে না। তখন নিজের খেলা খেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়।”
১৭০ রান নিয়ে চলতি আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন মারুফ। ৭৫ রানের বেশি করেছে এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে বেশি- ১৫৪.৫৪।
৩৩ রানে জেতা ম্যাচের পর জানালেন, আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য বোলার বেছে নিতে হয়। সঠিক বলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
“টার্গেট করি। টার্গেট করতে হয়। আজকে যেমন রশিদকে টার্গেট করেছিলাম যে, ওকে উইকেট দিব না। ওর বল কঠিন ছিল। সেই বলে বাউন্ডারি দরকার নেই, কিন্তু ওকে উইকেট দিব না। তারপরও ৫/৭ করে রান এসেছে।”
কুমিল্লার বিপক্ষে ৬০ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলা মারুফ দারুণ এক জুটি গড়েন নাসির হোসেনের সঙ্গে। তাদের ৮৪ রানের জুটিতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা।
“আজকে নাসিরের ব্যাটিং অনেক ভালো লেগেছে। টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি পরিকল্পনা করা হয় না। শট খেলা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। আজ পরিকল্পনা করেই আমরা দুই জন ব্যাট করেছি। যেমন, রশিদকে উইকেট দিব না। বাকিদের ক্ষেত্রে বাজে বলে শাস্তি দিব। তারপর অনিয়মিত বোলার এলে তার কাছ থেকে যত বেশি রান নেওয়া যায়।”
“এক-দুই করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, আজ আমরা অনেক এক-দুই রান নিয়েছি। আমরা ডট বল কম দিয়েছি। যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সে সময় একটা জুটি দরকার ছিল। ওখানে উইকেট পড়ে গেলে নিশ্চয়ই আরও ১০/২০ রান কম হতো। ভালো লেগেছে ওর সঙ্গে ব্যাট করে।”