১৮০ রান ছোঁয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েও সোমবার ১৬৩ রানে থমকে যায় চিটাগং। অধিনায়ক নিজে বিপিএলে খেলেছেন তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস (৫১ বলে ৭৫), জহুরুল ইসলামের সঙ্গে গড়েছেন ১১৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু শেষ দিকে দেখা যায়নি প্রত্যাশিত ঝড়। বরিশাল বুলস জিতে গেছে ৭ উইকেটে।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের শেষ দিকের ব্যাটিংকে তামিম বলেছেন “রাবিশ।” সংবাদ সম্মেলনেও অধিনায়কের কণ্ঠে ক্ষোভের সুর।
“আমি তো হতাশই, আমার ধারণা এরকম খেলা দেখতে থাকলে আপনারাও হতাশ হয়ে যাবেন। আমি যে ওভারে আউট হলাম, সেখান থেকে শেষ ওভার পর্যন্ত ৯ উইকেট হাতে নিয়েও আমরা ৪০ রান করেছি। আমাদের ব্যাটিং লাইন আপের কাছে আমি এটা প্রত্যাশা করি না। যত ভালো ক্রিকেটার আনেন, যত ভালো কোচ হোক, এরকম খেলতে থাকলে বিপর্যয় থামানো সম্ভব নয়।”
উদ্বোধনী জুটিতে এবারের বিপিএলের প্রথম শতরানের জুটি উপহার দিয়েছেন তামিম ও জহুরুল। ওভারপ্রতি প্রায় ৯ রান করে ৭৯ বলে ১১৬ রান তোলেন তারা দুজন। কিন্তু তামিম আউট হওয়ার পর শেষ ৪১ বলে আসে মাত্র ৪৭ রান।
তিনে নেমে এনামুল হক প্রথম ১০ বলে করেছিলেন ৭ রান। পরে শেষ করেছেন ১৯ বলে ২৭ রান নিয়ে। আরেক পাশে ডোয়াইন স্মিথ করেছেন ১৭ বলে ১৭!
এনামুলের স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। তবে এদিন তামিম আঙুল তুললেন স্মিথের দিকে।
“বিজয়ের তিনে ব্যাট করার কারণটা হচ্ছে, সে বরিশালের বোলারদের অন্যদের চেয়ে ভালো জানে। দলে অনেক বিদেশি আছে যারা হয়তো কামরুল রাব্বিকে খেলে নাই, আল-আমিনকে খেলে নাই। বিজয় খারাপ করেনি। অন্যপ্রান্ত থেকেও যদি আরেকটু ভালো খেলত, তাহলে হয়ত বা আমরা ১৭০-১৮০ করতাম।”