চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের ধুয়ে দিলেন তামিম

ডাগ আউটে থেকে ব্যাটসম্যানদের আত্মহত্যার মিছিল দেখে নিশ্চিতভাবেই বিরক্ত ছিলেন তামিম ইকবাল। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বোঝা গেল তা; চিটাগং অধিনায়ক প্রশ্ন তুললেন নিজ দলের ব্যাটসম্যানদের বোধ নিয়ে, তাদের চিন্তা-ভাবনার ঘাটতি নিয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2016, 02:01 PM
Updated : 12 Nov 2016, 03:16 PM

খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে শনিবার হাতের মুঠো থেকে জয় ফেলে দিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। উইকেটে ছিল দুজন থিতু ব্যাটসম্যান। কিন্তু মাহমুদউল্লাহকে ৩ উইকেট উপহার দিয়ে চিটাগং ম্যাচ হেরে বসে ৪ রানে!

ক্ষুব্ধ অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনা করলেন নিজ দলের ব্যাটসম্যানদের।

“যে ধরনের ক্রিকেট খেলছি, এ রকম খেললে আমরা হারতেই থাকব। একজন ব্যাটসম্যানকে ২০ বার ম্যাসেজ পাঠানোর পরও যদি সে ভুল করে, তাহলে বুঝতে হবে তার স্কিলে সমস্যা না থাকতে পারে, মাথায় সমস্যা আছে। এই ধরনের ক্রিকেটে এই পর্যায়ে যদি ডাল-ভাতের মত খাইয়ে দিতে হয়, তাহলে আমি দু:খিত যে বলতেই হচ্ছে, সে এখানে খেলার যোগ্য নয়।”

শেষ ওভারে উইকেটে ছিলেন মোহাম্মদ নবি ও চতুরঙ্গা ডি সিলভা। আগের ৪ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়ে এই দুজনই দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হন চতুরঙ্গা, শেষ বলে নবি। দুজনই আউট হন শর্ট বলে।

এর আগে থিতু হওয়ার পর বাজে শটে আউট হয়েছেন এনামুল হক। প্রতিপক্ষের মূল বোলার শফিউল ইসলামের শেষ ওভারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ জহুরুল ইসলাম।

তামিম অবশ্য কারও নাম উল্লেখ করলেন না। ক্ষোভ ঝারলেন দলের সব ব্যাটসম্যানকে জড়িয়েই।

“নাম না বলি, ব্যাটসম্যানদের কথাই বলছি। আমি যেটা বলছি, একটা জিনিস দেখছেন যে ওদের মূল বোলারদের বল করিয়ে ফেলেছে। দুটি ওভার শর্ট ছিল ওদের (নিয়মিত বোলারদের বাইরে কাউকে দিয়ে করাতে হবে)। এখন কেউ যদি একটু অপেক্ষা না করে মূল বোলারকে তাড়া করতে গিয়ে আউট হয়ে যায়, তাহলে এত ম্যাসেজ পাঠিয়ে লাভ নেই। এই লেভেলে খেললে একটু হলেও মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে হবে।”

১২৮ রান তাড়ায় এদিন শুরুতেই অধিনায়কসহ দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল চিটাগং। তামিম ও ডোয়াইন স্মিথ, দুজনই ৩ রানে আউট হয়েছেন কেভন কুপারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে।