গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ডের সফর নিয়েই ছিল শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিদর্শকের পরামর্শে সফরে আসে ইংল্যান্ড। সিরিজ জুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। মাঠের ক্রিকেটও ছিল জমজমাট ও রোমাঞ্চকর।
সফরের মাঝেও নানা সময়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইংলিশ ক্রিকেটার ও ইসিবির কর্তারা। বিমানবন্দরে যাওয়ার বাসে ওঠার আগেও অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক জানালেন ভালো লাগার কথা।
“অসাধারণ সফর ছিল। আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ। সব কিছু ছিল দারুণ। দুর্দান্ত সময় কেটেছে আমাদের।”
ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডও।
“ধন্যবাদ বাংলাদেশ। নিরাপত্তা সংস্থার যারা আমাদের জন্য এতটা করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।”
একই সুর ছিল ওই সফরের ওয়ানডে অধিনায়ক জস বাটলারের কণ্ঠে।
“বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ আন্তরিকতা ও আমাদের দারুণভাবে দেখভাল করার জন্য।”
ইংল্যান্ড এই সফরে আসতে রাজি হয়েছিল ইসিবির নিরাপত্তা প্রধান রেজ ডিকাসনের আশ্বাস ও সবুজ সঙ্কেতে। তার ওপর চাপ ছিল তাই প্রচণ্ড। সফর শেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার পাশাপাশি ডিকাসন বাংলাদেশকে দিয়ে গেলেন প্রশংসার বড় সনদ।
“২০ বছর ধরে আমি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে কাজ করছি। এখানে যে রকমটা দেখেছি, সরকারের সম্পৃক্ততা যতটা ছিল, আমার দেখা সেরার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।”
ভারতে পাঁচ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে ইংল্যান্ড। আগামী বুধবার প্রথম টেস্ট রাজকোটে।