‘বাংলাদেশের ছেলেদের ফিটনেস ও ওয়ার্ক এথিকস দারুণ’

বেশ অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ দলে ছিল না কোনো ব্যাটিং কোচ। আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পান থিলান সামারাবিরা। সিরিজ শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন কেমন দেখেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2016, 03:58 PM
Updated : 1 Nov 2016, 05:21 PM

বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? কতটা উপভোগ করলেন?

থিলান সামারাবিরা: সত্যি বলতে, দারুণ! এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক দলকে কোচিং করালাম। সত্যিই উপভোগ করেছি। আমি যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি, সেই সময়ের চেয়ে এই দল অনেক বদলে গেছে। এই ৪৫-৫০ দিন আমি দারুণ উপভোগ করেছি। আমার জন্যও এটা ছিল শেখার অভিজ্ঞতা।

সবচেয়ে উপভোগ্য ছিল কোনটি?

সামারাবিরা: আমি টেস্ট ক্রিকেটের অনেক বড় ভক্ত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই ছিল রোমাঞ্চকর। শেষ টেস্টে ২৭৩ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর আমরা এগিয়ে ছিলাম। পরে ওরা বিনা উইকেটে ১০০ করার পর আমরা একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। তবে জানতাম, একটি উইকেটই বদলে দেবে সব। চা বিরতির পর সেটাই হলো। প্রথম টেস্ট আমরা হারলেও ম্যাচটা ছিল উপভোগ্য।

তবে একজন কোচের জন্য এসব ম্যাচ খুবই চাপের। ৪-৫ বছর আগে গ্রাহাম ফোর্ডের (সেই সময়ের এবং এখনকার শ্রীলঙ্কার কোচ) সঙ্গে কথা বলেছিলাম কোচিং নিয়ে। এখন আমি বুঝতে পারছি, কোচিং কতটা কঠিন। খেলার সময় শুধু নিজের খেলা নিয়ে ভাবলেই হতো। এখন সবার কথা ভাবতে হয়, সবার ব্যাটিং, মানসিকতা মাথায় রাখতে হয়। প্রচণ্ড টেনশন হয়! আমার জন্য কাজটি আরও কঠিন ছিল, কারণ এটিই কোচ হিসেবে আমার প্রথম আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। তবে কঠিন হলেও রোমাঞ্চকর।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের ফল নিয়ে আমি একটু হতাশ। প্রথম ম্যাচ আমাদের জেতা উচিত ছিল। সিরিজটিও। সেটি পারিনি। তবে টেস্টের আগে আমরা বিশ্বাস করেছি যে, জিততে পারি। সেটিই মাঠে করে দেখিয়েছি।

এই ধরনের টার্নিং উইকেটের জন্য ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুত করার কাজটি কতটা কঠিন?

সামারাবিরা:
প্রথমে আমি বলে নেই, আমি ভীষণভাবে বিশ্বাস করি, টেস্ট ক্রিকেট মানেই হলো ২০টি উইকেট নিতে হবে। এটিই আসল, ৬০০ রান করা বা সে রকম কিছু নয়। দিন শেষে প্রতিপক্ষকে দুবার অলআউট করেই ম্যাচ জিততে হয়।

এবার ইংল্যান্ড সিরিজের দিন দশেক আগেই আমরা জানতাম কোন ধরনের পিচ প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা সেভাবেই অনুশীলন করেছি। এই ধরনের উইকেটে ব্লকের পর ব্লক করে গেলে লাভ নেই। রান করতে হবে। সেটিই ছিল মূল ব্যাপার। আমরা জানতাম, এটি বড় রান, এমনকি ৩৫০-৪০০ রানের উইকেটও না। ২৭৫-৩০০ রানও এখানে খুব ভালো রান। মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটে ১৭০ থেকে ২২০ রানে গুটিয়ে যাওয়াটা ছিল হতাশাজনক। অন্তত ৩৫০ করা উচিত ছিল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ভালো হয়েছে।

বদলে যাওয়া বাংলাদেশের কথা বললেন। আপনার কি মনে হয়, এই বদলে যাওয়ান মূল কারণ কি?

সামারাবিরা: এখন আমি এখানে আছি বলে বলছি না, যখন জেনেছিলাম বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে চন্দিকা (হাথুরুসিংহে), তখনই জানতাম বাংলাদেশের ক্রিকেটে ভালো কিছু হতে যাচ্ছে। ওর নিয়োগই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি ওর বিপক্ষে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছি, পরে ওর নেতৃত্বে খেলেছি। আড়াই বছরের মতো শ্রীলঙ্কা দলের ব্যাটিং কোচ ছিল। আমি জানতার ওর সামর্থ্য, কতটা কি করতে পারে। তখনই ভেবেছি, ওর যা ক্রিকেট বোধ ও অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের ক্রিকেট এবার সঠিক পথে যাবে। পরিবর্তনটা চন্দিকাই এনেছে। ক্রিকেটাররাও ওর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে দারুণভাবে।

আরেকটা ব্যাপার, বাংলাদেশের ছেলেদের ফিটনেস এখন দারুণ। আগের চেয়ে অনেক ভালো। ওয়ার্ক এথিকসও দারুণ।

আপনার দায়িত্বের এই ৬-৭ সপ্তাহে ব্যাটসম্যানদের কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে?

সামারাবিরা: সবার সঙ্গেই কাজ করেছি। টেস্ট সিরিজে একটি ব্যাপার ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওপেনিং জুটি প্রতি ইনিংসেই দারুণভাবে ইনিংসের সুরটা বেধে দিয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টের কথা যদি মনে করেন, ৩৫ রানের জুটি। কিন্তু যেভাবে ওরা শুরু করেছিল, ইমরুলের ৪৫ রানের ইনিংস, তাতেই পরের ব্যাটসম্যানরা, গোটা ড্রেসিং রুম বিশ্বাস করতে শুরু করে যে আমরা ওই উইকেটেও ২৮০ রান তাড়া করতে পারি। বিশ্বাস করুন, ব্যাটিংয়ের জন্য এই ধরনের পিচ ভীষণ দুরূহ। কিন্তু আমাদের ওপেনারদের ব্যাটিং দেখে সেটা মনেই হয়নি। গোটা দলকেই আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে ওদের ব্যাটিং।

কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে, টেস্ট সিরিজেও যেভাবে হুটহাট ধস নেমেছে, সেসবের ব্যখ্যা কি? কিংবা প্রতিবারই বিরতির আগে উইকেট পড়া, সেটা কি মেন্টাল ব্লক হতে পারে কোনো?

সামারাবিরা: বিশ্বাস করুন, প্রতিবারই লাঞ্চ বা দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে আমি নার্ভাস হয়ে পড়েছি, এই না কেউ আউট হয়! এটি সমস্যা অবশ্যই। তবে খুব দুর্ভাবনার কিছু নেই। কারণ ব্যাপারটি মানসিক, টেকনিক্যাল নয়। কথা বলে এসবের সমাধান বের করা যায়।

আমার মতে, টেস্ট ক্রিকেট মানে হলো শুধুই বর্তমান, অতীত নয়, ভবিষ্যতও নয়। শেষ বলটিই সবসময় গুরুত্বপূর্ণ, দিনের খেলা শেষ মানে খেলা শেষ হওয়া নয়। আমি এভাবেই ছেলেদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।

চট্টগ্রামে দিনের শুরুতে সাকিবের ওই শট বা মিরপুরে দিনের শেষে মাহমুদউল্লাহর শট দেখার পর আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?

সামারাবিরা: ওরা সিনিয়র ক্রিকেটার। আশা করি, এই অভিজ্ঞতা থেকে ওরা শিখবে। আমার মতে, টেস্ট ক্রিকেট হলো শতাংশের খেলা। সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে শতাংশের হারে যতটা কম সম্ভব ঝুঁকি নিতে হয়। আশা করি, এবারের ঘটনা থেকে ওরা শিখবে।

ওদের সঙ্গে কি কথা বলেছিলেন পরে?

সামারাবিরা: দল বেধে আলোচনা করার চেয়ে ব্যক্তিগত আলাপে বিশ্বাস করি আমি। ওদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কি বলেছি, সেটা খোলাসা করতে চাই না। একান্তই ভেতরের ব্যাপার। 

এই ধরনের পরিস্থিতি সামলানোয় আপনার পদ্ধতিটা কি?

সামারাবিরা: ব্যাখ্যা করা কঠিন। আমি মানুষ হিসেবে এমনিতে খুব শান্ত, সুস্থির। এটাই আমার ধরন। ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন বিষয় বুঝিয়ে বলেছি। ভবিষ্যতে দেখব, এ রকম ভুল ওরা করে কিনা।

তামিমকে নিশ্চয়ই এখানে আসার আগে থেকেই ভালোভাবে জানতেন। কাছ থেকে দেখার পর কেমন মনে হলো?

সামারাবিরা: যতটা দেখেছি, তামিম চন্দিকার বেশ কাছের। চন্দিকার সঙ্গে অনেক সময় নিয়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। তামিমের পুরো ব্যাপারটিই হলো ওর মানসিকতা। এমনিতে ওর সামর্থ্য তো অসাধারণ। আমার বিশ্বাস, আগামী পাঁচ বছরে অনেক বড় বড় অর্জন ধরা দেবে ওর।

তামিম ও ইমরুলের সঙ্গে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে কথা হয়েছিল আমার আর চন্দিকার। পিচের ধরন বুঝেই আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম। এই ধরনের উইকেটে টিকে থাকা কঠিন। কোনটা টার্ন করবে, কোনটা করবে না বোঝা মুশকিল। এজন্যই ইতিবাচক থাকার পরিকল্পনা ছিল, আমরা ওদের সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।

ইমরুলের সম্পর্কে নিশ্চয়ই এখানে আসার আগে ধারণা কমই ছিল?

সামারাবিরা: হ্যাঁ, গত সাত সপ্তাহে যতটা দেখেছি, সে দারুণ একজন ব্যাটসম্যান। সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ আসছে। আশা করি, সে শিখতে থাকবে ও ভালো করবে। এই সিরিজ শেষেই নিউ জিল্যন্ডে খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইমরুলের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। আগামী সাত মাসে দেশের মাটিতে খেলাই নেই। সবাইকেই তাই মানিয়ে নিতে হবে প্রতিকূল কন্ডিশনে।

মুমিনুলের মতো যারা শুধু টেস্টই খেলে, তাদের কাজটা কতটা কঠিন? আপনিও শ্রীলঙ্কায় এক রকম ছিলেন টেস্ট স্পেশালিস্ট…

সামারাবিরা: সত্যি বলতে খুবই কঠিন। আমি যখন খেলতাম, চার মাস বিরতির পর খেলতে নামাটা ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসটিতে। যত ট্রেনিং বা যা কিছুই করুন না কেন, ম্যাচ খেলা অন্য ব্যাপার। ভিন্ন চাপ। শরীরকে চাঙা রাখতে রুটিনগুলো আঁকড়ে রাখতে হয়।

বিরতির সময়টায় কি করতে পারে টেস্ট স্পেশালিস্টরা?

সামারাবিরা: প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা ছাড়া তো কিছু করার নেই! কিছুই করার দেখি না।

নিজে টেস্ট স্পেশালিস্টই ছিলেন, মুমিনুলের মতো একজনকে কিভাবে সামলেছেন?

সামারাবিরা: প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সে যেভাবে আউট হয়েছিল (মইন আলির টার্ন ও বাউন্সে), কিছু করার ছিল না। প্রথম তিন-চার বলে এমনিতেই ব্যাটসম্যানরা নড়বড়ে থাকতে পারে। সেখানে এরকম বল পেলে খুব কঠিন। পরে ভালোই করেছ। আমরা কথা বলেছি, অনেক ব্যাপার নিয়ে আলাপ করেছি।

সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ওরা সবাই কাজ করতে চায়। আমি যেটাই বলি না কেন, ওরা না শুনলে সেটা কাজে দেবে না। এখানে ওরা সবাই সুপারস্টার, তারপরও সবাই শিখতে চায়।

টেকনিক্যালি কাউকে নিয়ে বড় কোনো কাজ করেছেন বা উল্লেখযোগ্য কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট?

সামারাবিরা: খুব বেশি কিছু নয়। ছোট ছোট কিছু দিক দেখিয়ে দিয়েছি, আশা করি সামনে এ সবই বড় প্রভাব ফেলবে।

সৌম্য সরকারকে কেমন দেখলেন? গত বছর দারুণ সব বোলিং আক্রমণকে তুলোধুনো করেছে, এখন একদমই ছন্দে নেই। ওর সমস্যাটা কি টেকনিক্যাল নাকি মানসিক?

সামারাবিরা: সমস্যা টেকনিক্যাল নাকি মানসিক, সেটা প্রকাশ্যে বলা ঠিক হবে না। ওর জন্য সেটা ভালো হবে না। ব্যর্থতার একটা ইতিবচিক দিক হলো, ভুল থেকে শেখার সুযোগ আছে। শিখলে আরও সমৃদ্ধ হওয়া যায়। আমার ধারণা, বেশি কিছু দিন রানে নেই বলে সৌম্য একটু চাপে আছে।

তবে আমার বিশ্বাস, বিপিএল থেকেই সে এসব কাটিয়ে উঠবে। টি-টোয়েন্টি খেলাটিই হলো মুক্ত মানসিকতার ব্যাপার। চাপ একটা নেই। তিন-চারটি শট মাঝব্যাটে লাগলেই দেখবেন ছন্দ ফিরে পাবে। অনেক কিছুই চেষ্টা করে দেখেছি আমরা। আশা করি, সামনেই ফল পাওয়া যাবে।

সাকিবের ব্যাটিং নিয়ে আপনার ধারণা কি?

সামারাবিরা: আমার মনে হয় না সে ছন্দে নেই। স্রেফ সে বড় স্কোর গড়তে পারছে না। এবারের সিরিজে উইকেটের কারণে কাজটা কঠিন ছিল। মিরপুরে দ্বিতীয় ইনিংসে ওর ৪১ রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার বিশ্বাস, নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে সে আরও ভালো খেলবে।

এই সিরিজে ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারদের পার্থক্যটাও চোখে পড়েছে। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে আপনার ভাবনাটা কি?

সামারাবিরা: এই পার্থক্যের মূল কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো। রাতারাতি কিছু করা যাবে না। ক্রিস ওকস, আদিল রশিদের ৯টি, ১০টি করে সেঞ্চুরি আছে কাউন্টি ক্রিকেটে। অনেক বড় ব্যাপার।

এজন্যই এখানে, এমনকি শ্রীলঙ্কাতেও শক্তিশালী প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো প্রয়োজন। তাহলে জানা যাবে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কখন কি করতে হবে। এই ডিআরএসের কথাই ধরুন। আমরা এতে খুব বেশি অভ্যস্ত নই। অনেক সময় তাই আবেগ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। ইংল্যান্ডে প্রায় প্রতি সিরিজেই ডিআরএস থাকে। ওরা তাই ভালো সামলাতে পেরেছে। এভাবেই অভিজ্ঞতা আর বেশি বেশি খেলা থেকেই উন্নতিটা হয়।

ক্যারিয়ারের শুরুতে অফ স্পিনার ছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু স্পিনার হিসেবেই। মেহেদী হাসান মিরাজকে কেমন দেখলেন? কাজ করেছেন ওর সঙ্গে?

সামারাবিরা: দারুণ এক প্রতিভা। বাংলাদেশর জন্য দারুণ এক প্রাপ্তি। খুব বেশি কিছু চেষ্টা করে না। মৌলিক ব্যাপারগুলো ঠিক রেখে নিজের কাজটা করে যায়। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, কোচদের বার্তাটা দ্রুত ধরতে পারে। ওর মাথাটা দারুণ, যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিংটাও ভালো করে। তবে এখনও বাচ্চা। যখন আরেকটু পেশি হবে, শক্তি বাড়বে, আত্মবিশ্বাস আসবে, তখন ব্যাটিংও ভালো হবে।

আপাতত বিসিবির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ তো শেষ। বাড়ানোর প্রস্তাব পেলে থাকবেন?

সামারাবিরা: অবশ্যই। এখনও আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি বিসিবি। তবে আমার সঙ্গে কথা বলেছে এবং আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত রাখা হতে পারে। নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে সিডনিতে বাংলাদেশের ক্যাম্পেও থাকব। একটি আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে কাজ করতে পারা অনেক বড় সম্মানের। বিসিবি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলে তাই না করার কারণ নেই। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে ভিক্টোরিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে কাজ করার কথা আমার। তবে বিসিবি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলেই ওদের না করে দেব।