গেইলের পর ব্র্যাথওয়েইট

ব্যাটিংয়ের ধরনে দুজন দুই মেরুর। ক্রিস গেইলের কাছে ব্যাট মানে বোলারদের কচুকাটা করা। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইটের কাছে ব্যাটিংয়ের অর্থ উইকেটে পড়ে থাকা। একটি জায়গায় দুজনই এখন এক বন্ধনীতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুজনই করেছেন আদ্যন্ত ব্যাটিং!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2016, 10:48 AM
Updated : 1 Nov 2016, 02:10 PM

পাকিস্তানের বিপক্ষে শারজাহ টেস্টের তৃতীয় দিনে ‘ক্যারিং দা ব্যাট থ্রু আ কমপ্লিটেড ইনিংস’-এর নজির গড়েছেন ব্র্যাথওয়েইট। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ১৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ৩৩৭ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে সবশেষ অপরাজিত ছিলেন গেইল। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৬৫ রান করেন সেই সময়ের ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।

এই দুজনের আগে এই কীর্তি ছিল আর মাত্র তিন জন ক্যারিবিয়ানের। ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্টব্রিজে ১৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন ফ্র্যাঙ্ক ওরেল। ১৯৬৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনে দলের ১৩১ রানের ইনিংসে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন কনরাড হান্ট।

এরপর তিন দফায় আদ্যন্ত ব্যাটিংয়ের নজির গড়েন ডেসমন্ড হেইন্স। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার, পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৮। পরে ১৯৯১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৬ এবং ও ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৩।

সব মিলিয়ে ব্র্যাথওয়েইটের আগে আদ্যন্ত ব্যাটিংয়ের নজির আছে ৫০টি। প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন যিনি, তিনি করেছিলেন মাত্র ২৬ রান! ১৮৮৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কেপ টাউনে ৪৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ওপেনার বার্নার্ড টানক্রিড অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে।

সবশেষ গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৮ রানে আদ্যন্ত ব্যাট করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডিন এলগার।

বাংলাদেশে হয়ে এই কীর্তি আছে কেবল একজনেরই। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ায়োতে নিজের অভিষেক টেস্টেই প্রথম ইনিংসে ৬২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন জাভেদ ওমর বেলিম।