দারুণ একটি টেস্ট জয়ের পরের সকালটায় কেমন লাগছে?
চন্দিকা হাথুরুসিংহে: যতটা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। শুধু বাংলাদেশে নয়, গোটা বিশ্ব থেকেই। অনেকেই অভিনন্দন জানাচ্ছে, কথা বলছে। আস্তে আস্তে বুঝতে পারছি, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা কত বড় একটা অর্জন!
এই মুহূর্তে নিজেকে আপনার কতটা ‘বাংলাদেশি’ মনে হচ্ছে?
হাথুরুসিংহে: ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত। বোর্ড ও ভক্ত-সমর্থকদের নিয়েও। এই মুহূর্তটির জন্য সবাই অনেক অনেক দিন ধরে প্রতীক্ষায় ছিল। হয়ত টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর থেকেই! আমি দেখতে পাচ্ছি, ওদের কাছে এই জয় কতটা। এটির অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।
এই তীব্র আবেগ, প্রতিক্রিয়ার জোয়ার, সেটি কি ইংল্যান্ডকে হারানো গেছে বলেই?
হাথুরুসিংহে: সেটি অবশ্যই একটি কারণ। আরেকটি ব্যাপার হলো, গোটা সিরিজটা যেভাবে খেলা হয়েছে। সাফল্যটি মোটেও চমক নয়, প্রতিটি ম্যাচেই আমরা ছিলাম খুব কাছাকাছি। সমর্থকদের, এমনকি ক্রিকেটারদের নিজেদেরও প্রত্যাশা ছিল অনেক উঁচুতে। স্রেফ লড়াই করা, ড্রয়ে সন্তুষ্ট থাকার বদলে ওরা জিততে চেয়েছে। লোকে চেয়েছে যেন আমরা ভালো কিছু করে দেখাই। সেটা করতে পারা সন্তুষ্টির।
হাথুরুসিংহে: সামর্থ্যের দিক থেকে চ্যালেঞ্জ খুব বেশি ছিল না। তবে মানসিকভাবে টেস্টের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ব্যাপার ছিল। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরি ছিল যে, আমরা লড়াই করতে পারি এবং দলীয় পরিকল্পনায় আস্থা রাখতে পারি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল হারের ভয়ে ভীত না হওয়া এবং শুধু জয়ের কথাই ভাবা। ড্রেসিং রুমে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে হয়েছে এখানেই, যদিও বাইরে এটি আমি খুব একটা বলিনি। আমরা সবাই বিশ্বাস করেছি যে যদি আমরা হারের ভয়কে জেঁকে বসতে না দেই, আমরা অনেক বড় কিছু অর্জন করতে পারি।
কৃতিত্ব সবটুকুই আবারও দেব ছেলেদের, দল হিসেবে ওরা এটা বিশ্বাস করতে পেরেছে। নিজেদের পছন্দ মতো উইকেট তৈরি থেকে শুরু করে সব কিছুতেই বিশ্বাস এসেছে। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, গত কিছু দিনে দলটি ভালো ফলাফলের জন্য ভিন্ন কিছু চেষ্টা করতে বা বাজিয়ে দেখতে কখনোই ভয় পায়নি!
বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আপনার প্রথম টেস্ট সিরিজে, ২০১৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যে দলকে দেখেছিলেন, সেই দলের সঙ্গে এই দলের পার্থক্য কতটা?
সেই ভিডিওগুলোতে দেখছি, শফিউল ব্যাটিং করছে এবং খেলতে গিয়ে বলের ধারেকাছে যাচ্ছে না। শফিউলের দিকে আঙুল তোলা নয়, এটা বলছি প্রতীকী হিসেবে যে সেই সময় থেকে এখন আমাদের আচরণ, মানসিকতা কতটা বদলে গেছে। ছেলেরা এখন আর কোনো কিছুতেই ভয় পায় না। শরীরী ভাষা, আচরণ, মানসিকতা বদলে গেছে।
ছেলেরা সব সময়ই খেলে জয়ের জন্য। প্রস্তুতি নেয় এবং মাঠে নামে জয়ের জন্য। লোকের স্মৃতিশক্তি খুব দুর্বল। ওই ভিডিওগুলো দেখলেই বোঝা যায়, সেই দিনগুলিকে পেছনে ফেলে কতটা এগিয়েছে এই দল।
সেই বিশ্বাসটা নিশ্চয়ই রাতারাতি জন্ম নেয়নি! কিভাবে এলো?
হাথুরুসিংহে: বিশ্বাস জন্ম নেয় ফলাফল থেকে। শুরুতে কাজটা কঠিন। কিন্তু একবার সাফল্যের স্বাদ পেলে কাজটা সহজ হয়। একটি সাফল্যের হাত ধরে আসে আরও সাফল্য। কাজগুলি আমরা যেভাবে করছি, সেটাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মত কেউ যদি থাকে, অবশ্যই উন্নতি হয়। আর যেভাবে যেখানে আছি, সে সব নিয়েই সন্তুষ্ট থাকলে বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব নয় কখনোই। কেবল জয়ের সংখ্যা দিয়েই সাফল্যকে ব্যাখ্যা করা যাবে না, আরও অনেক অনেক ব্যাপার মিশে থাকে।
দায়িত্ব নেওয়ার সময়, টেস্টের বাংলাদেশকে বদলে দেওয়াই কি আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল?
হাথুরুসিংহে: আমি ব্যপারটা সেভাবে দেখিনি। আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সার্বিকভাবেই দলের উন্নতি করা। এখানে আসার আগে আমার মনে হয়েছে, এই দলটির সত্যিকার সম্ভাবনা বের করে আনার দারুণ সুযোগ এটিই। আমি জানতাম যে দলটা পরিণত হয়ে উঠছে, দলের মূল ক্রিকেটাররা তাদের চূড়ার খুব কাছাকাছি। কোচিং স্টাফের অন্যরা, বোর্ডের অনেকে আমাকে সাহায্য করেছে। সীমানা ছাড়িয়ে নতুন নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করার স্বাধীনতা তারা আমাকে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় জাতীয় দলেও হাতে কলমে অনেক কিছু শেখাতে হয়। আপনাকে সেটা কতটুকু করতে হয়?
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলেছেন যে ইংল্যান্ডের জন্য টার্নিং উইকেট বানানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই করেছিল দল। ভাবনাটা কিভাবে এলো? কার মাথায় প্রথম এসেছিল?
হাথুরুসিংহে: সবারই ভাবনা এটা, দলীয় পরিকল্পনা। শুধু কোচরা কেন, ক্রিকেটারদেরও আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে এবং পরিকল্পনা সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাদের অনুশীলনের ধরণ ও পরিস্থিতি সামলানোর মানসিক সামর্থ্য বাড়াতে হয়েছে। কারণ দিনশেষে সবচেয়ে বেশি চাপে থাকে তারাই, আমরা নই।
তো ওদেরও পরিকল্পনা ছিল, শুধু আমরা কোচরাই নই। ছেলেরা যখন বিশ্বাস করতে শুরু করে, পরিকল্পনাকে সাদরে গ্রহণ করে, তখন পরিকল্পনার বাস্তবায়নও সহজ হয়ে যায়। কারণ কাজটা তো করতে হয় তাদেরই।
এখন কি মনে হয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ভোলা যাবে?
হাথুরুসিংহে: সেটি ভোলার চেষ্টা করলে, আমরা যা অর্জন করতে চাই, সেই লক্ষ্যটাও হারিয়ে যাবে। ওই ম্যাচ অবশ্যই ভোলা যাবে না। ওই ম্যাচ থেকে ছেলেদের শিখতে হবে। ভুলে যাওয়া মানে ওদের সামনে যা আছে, সেই লক্ষ্য ভুলে যাওয়া।
চট্টগ্রামে দিনের শুরুতে সাকিবের ওই শট বা মিরপুরে দিনের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহর শট, এমন কিছু দেখলে আপনার মানসিকতা কেমন থাকে?
কিন্তু মাহমুদউল্লাহর কথাই ধরলে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওই শট, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্টেও আত্মঘাতী শট…সিনিয়র ক্রিকেটাররা কতটা শিখছে ভুল থেকে?
হাথুরুসিংহে: ভালো প্রশ্ন… শুধু মাহমুদউল্লাহ নয়, আরও যাদের নাম বললেন, উত্তরটা হলো, ওদেরই বুঝতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে কোনটি দরকার। বুঝতে হবে ওই পরিস্থিতিতে কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওরা নিজেরা ভাবলে, উত্তরও নিজেরাই পেয়ে যাবে।
সিনিয়র ক্রিকেটাররা বড় ভুল করলে সেটা সামলান কিভাবে?
হাথুরুসিংহে: সামলানোর সবচেয়ে সেরা উপায় হচ্ছে, ওদের নিজেদেরই উপলব্ধি হওয়া। যেটা হয়েছে, সেটাই আবার ওদেরকে বলার মানে নেই। ওরা সিনিয়র ক্রিকেটার! নিজেরা বুঝতে পারলে সবসময়ই ভালো। তারপর যদি কিছু শোনার বা জানার প্রয়োজন হয়, আমি তো সব সময়ই সবার জন্য উন্মুক্ত! শেখার শুরুটা কিন্তু সেখানেই। আমি ওদেকে তাড়া দিলে বা চিৎকার করলে লাভ কিছু হবে না।
কিন্তু বড় ধস যখন হয়? ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বা মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে যেরকম ব্যটিং ধস হলো, কোচের মাথায় তখন কি চলতে থাকে?
হাথুরুসিংহে: আমার মতে, এখানে বড় ব্যাপার হলো, ওদের মস্তিষ্কে তখন কি চলতে থাকে। আমরা তো ধারণা করতে পারি না, এমন কিছু হতে যাচ্ছে। এই সিরিজে ব্যাটসম্যানদের কাজটি কঠিন ছিল উইকেটের কারণে। তবে সেই দুর্ভাবনা যখন মাথায় ঢুকে বাসা বেধে ফেলে, তখন কাজ কঠিন হয়ে যায়। প্যানিক বাটনে চাপ পড়লেই সব ট্রেনিং, অভিজ্ঞতা, সব জানালা দিয়ে পালায়।
আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ হলো, খুব বেশি টেস্ট জয়ের অভিজ্ঞতা না থাকলে এবং জয়ের কাছে গেলে, অনেক ভাবনা মাথায় আসে। এত এত লোকের কথা শুনতে হয়, কি করতে হবে, কি করা যাবে না। আমরা তো বুলেটপ্রুফ নই! অনেক সময় লাগে, অনেকবার এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পর সেটা জয় করা শেখা যায়। আমি এটাকে এভাবে দেখি, ‘তোমার কম্পিউটার নানান আইডিয়ায় পূর্ণ। অন্য কারও কথা শোনার চেয়ে নিজের সমাধান নিজেই খুঁজে নাও!”
হাথুরুসিংহে: ফলের ওপর কোনো হাত নেই আমাদের। আমরা প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখার চেষ্টা করতে পারি। আমাকে তাই বেশি তৃপ্তি দেয় উন্নতি। তাছাড়া ছেলেরা যেভাবে সাফল্য ও ব্যর্থতার দায় নিজেরা নেয়, সেটিও আমাকে গর্বিত করে।
ক্রিকেটারদের কাছে আপনি যা চান, সেসব কি পাচ্ছেন?
হাথুরুসিংহে: বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আলোচনা ও গ্রহণ করার ব্যাপারে যেসব ক্রিকেটাররা উন্মুক্ত, তাদের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন পাই আমি। বোর্ডের কাছ থেকে আমি প্রচুর সমর্থন পাই, আপনারা যেটা ভালো করেই জানেন। সেটুকুই যথেষ্ট। সবাই তো আর আমাকে পছন্দ করবে না! সবাই পছন্দ করা মানে সবার সন্তুষ্টি জোগানো। আর যত বেশি লোকে সমালোচনা করবে, তার মানে, যা চলছে আমি সেসবকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। এসবের সঙ্গে ফলটাও পক্ষে আসা মানে সবকিছু ইতিবাচকই হচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের চলে আসা অনেক কিছুই যে আপনি চ্যালেঞ্জ করেছেন, সেটা উপলব্ধি করতে পারেন?
হাথুরুসিংহে: আমি জানি। আমার ক্যারিয়ারটা বরাবরই এরকম। সঠিক কিছুর জন্য সোজা হয়ে দাঁড়াতে আমি কখনোই পিছপা হইনি। হারি বা জিতি, যেটি ঠিক মনে করেছি, সেটি চেষ্টা করতে কখনোই ভয় পাইনি।
তাসকিন বা মুস্তাফিজ, এখন মিরাজের মতো তরুণ যারা জাতীয় দলে এসেই রাতারাতি খ্যাতি পেয়ে যায়, তাদের প্রতি আপনার বার্তাটা কি থাকে?
এবার যেমন ম্যাচ শেষেই মেহেদীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি ওকে বলেছি যে প্রথমেই যেটা করবে, সতীর্থদের সঙ্গে এই সাফল্য উদযাপন করবে। ও এখনও বাচ্চা হলেও বেশ পরিণত। বুঝতে পারে। আমার বার্তাটা সে ধরতে পেরেছে। আশা করি ওরা এটা খুব ভালোভাবেই সামলাতে পারবে।
কি মনে হয়, আপনার কোচিং ক্যারিয়ারের সেরা সময় চলছে?
হাথুরুসিংহে: ঠিক জানি না…সব সময়ই চাই সামনে আরও ভালো করতে। এই মুহূর্তে আমি দায়িত্ব উপভোগ করছি।
সামনের বছর তো অপেক্ষায় আরও বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের বাইরে অনেক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সব ঠিকঠাক থাকলে ১১টি টেস্ট, বেশিরভাগই বিদেশে…
হাথুরুসিংহে: আমি বিষয়টিকে ঠিক সেভাবে দেখি না। দেশের বাইরে খেলি বা না খেলি, প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জ। আমাদের এমন কোনো পরিকল্পনা করতে হবে যেটায় আমরা বিশ্বাস করতে পারি। ফল যাই হোক, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারলেই আমি খুশি।
বিদেশে টেস্ট খেলতে গেলেই হয়ত ভালো পেস আক্রমণ লাগবে। টেস্টে আমাদের পেস বোলিংয়ের যে অবস্থা, মাশরাফিকে টেস্টে ফেরানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন?
হাথুরুসিংহে: দল নির্বাচন নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তবে যে ধরনের উইকেটে আমরা খেলেছি এখানে, পেসারদের কাছ থেকে ১৫ ওভার আমি আশা করি না। সামনে আমরা কোন পথে এগোব দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। সুনির্দিষ্ট ভূমিকার জন্য আমরা আগেই ক্রিকেটারদের বাছাই করি এবং তাদের প্রস্তুত করি। আমাদের আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো, পরিকল্পনার পরম্পরা আমাদের ঠিক করাই আছে। সব মিলিয়ে আমি খুশিই আছি।
তাইজুল এখন ওয়ানডেতে আছে, মুমিনুল নেই। কিন্তু টেস্টে অপরিহার্য। ওদের প্রস্তুত রাখতে খেলার মধ্যে রাখা বা এরকম কিছু একটা করার ভাবনা কি জরুরি নয়?
হাথুরুসিংহে: অবশ্যই। সবচেয়ে ভালো হয় ‘এ’ দলের সফর হলে!
বাংলাদেশে তো ‘এ’ দলের খেলা খুবই কম। আপনি কি বোর্ডকে সেটা বলেছেন বা পরামর্শ দিয়েছেন?
হাথুরুসিংহে: আমি তো স্রেফ একজন কোচ। আমি শুধু পরামর্শই দিতে পারি। এখন ‘এ’ দলের খেলা বা সফরের গুরুত্ব তুলে ধরতে আমি যদি ব্যর্থ হই, তার মানে আমি নিজের কাজটা ঠিকঠাক করছি না!
হাথুরুসিংহে: সব তো আমি বলতে পারি না। সবচেয়ে ভালো যেটা বলতে পারি, কাল গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটাররা সামনে এগিয়ে এসেছে। আমি খুবই হতাশ ও বিচলিত ছিলাম যে আমরা আরও একটি সুযোগ নষ্ট করে ফেলছি প্রায়, যেটি আমাদের হাতে আছে। ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। আমি ওদের চ্যালেঞ্জ করেছি ঘুরে দাঁড়াতে। ওদের বলেছি যে এমন সুযোগ আর কখনও আসবে না।
আমি খুশি যে ছেলেদের কয়েকজন দাঁড়িয়ে গেছে এবং ভিন্ন কিছু করেছে। তামিমের কথা বললেন, আমি কিছু বলছি না। আপনারাই দেখেছেন। তামিম, সাকিব ও মেহেদী, আরও কয়েকজন সামনে এগিয়ে এসেছে।
মেজাজ খারাপ থাকলে হাথুরুসিংহে সাধারণত কেমন থাকেন? কি করেন?
হাথুরুসিংহে: সেটা তো খোলাসা করতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি, এখানে আড়াই বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে আমি সম্ভবত কেবল দুটি জিনিসেই লাথি মেরেছি! (হাসি) মজা করলাম… আসলে প্রধান কোচ হিসেবে আমি রেগে যেতে পারি না! বিভিন্ন রকম আইডিয়া আর ক্রিকেটারদের মাঝে আমাকে হতে হবে ফিল্টার। একই সঙ্গে বার্তাটাও বুঝে নিতে হবে আমাদের!