বোলিংয়ে সেরা মিরাজ, ব্যাটিংয়ে তামিম

সিরিজে আর কেউ যেখানে একবারের বেশি ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাননি সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন তিন বার। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার সাকিব আল হাসানের চেয়ে সাতটি বেশি উইকেট নিয়ে সিরিজে সেরা উইকেট শিকারী এই তরুণ অফ স্পিনারই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2016, 11:47 AM
Updated : 31 Oct 2016, 12:14 PM

১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়া সিরিজে বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও প্রথম দুটি স্থানে আছে স্বাগতিকদের দুই ক্রিকেটার। সিরিজে একমাত্র শতক করা তামিম ইকবাল সবার ওপরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী ইমরুল কায়েসের।

নতুন বলে ১৯ বছর বয়সী মিরাজ ছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে বড় ধাঁধা। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অভিষেক টেস্টে চট্টগ্রামে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। মিরপুরে ১৫৯ রানে ১২ উইকেট নিয়ে গড়েছেন বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।

১৫.৬৩ গড়ে ১৯ উইকেট নেওয়া মিরাজ জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। অভিষেক সিরিজে সেরা হওয়া মাত্র নবম ক্রিকেটার তিনি। বাংলাদেশের হয়ে এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এই তরুণের। ২০০৫ সালে এনামুল জুনিয়র ও ২০১৪ সালে সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।

সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে নিজের প্রথম দুই টেস্টের তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট পান মিরাজ।

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে লক্ষ্যটা ধরা ছোঁয়ার মধ্যে রেখেছিলেন সাকিব। সেবার পারেনি স্বাগতিকরা। ঢাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে এই বাঁহাতি স্পিনার রাখেন বড় অবদান। সব মিলিয়ে ১৮.৪১ গড়ে ১২ উইকেট নেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকা।

১১টি করে উইকেট নিয়ে পরের দুটি স্থানে আছেন বেন স্টোকস ও মইন আলি। রিভার্স সুইংয়ে প্রথম টেস্টে ব্যবধান গড়ে দেওয়া পেসার স্টোকস ১০.০৯ গড়ে উইকেট নেন। তার সেরা ৪/২৬।

অফ স্পিনার মইন একমাত্র ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে নেন ৫ উইকেট। তার সেরা ৫/৫৭। ২২.৯০ গড়ে উইকেট নেন তিনি।

৭টি করে উইকেট নেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।

সিরিজে সর্বোচ্চ চারটি ইনিংসের দুটিই আসে তামিমের ব্যাট থেকে। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ঢাকা টেস্টে খেলেন ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। চট্টগ্রামে ৭৮ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। সিরিজে আর কোনো ব্যাটস্যমান দুবার পঞ্চাশ পর্যন্ত যেতে পারেননি। ৫৭.৭৫ গড়ে ২৩১ রান করেন তামিম।

৩৫.৭৫ গড়ে ১৪৩ রান করেন আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইমরুল। তার সেরা ৭৮ রান।

বোলিংয়েরও মতো ব্যাটিংয়েও তৃতীয় স্থানে ইংলিশ অলরাউন্ডার স্টোকস। ৩২ গড়ে ১২৮ রান করেন তিনি। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সেরা ৮৫ রান। চার নম্বরে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো। ৩১.৫০ গড়ে ১২৬ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার সেরা ৫২ রান।

আউটের সময় ও ধরনের জন্য সমালোচনার মধ্যে পড়া মাহমুদউল্লাহ আছেন পঞ্চম স্থানে। ২৮.৭৫ গড়ে ১১৫ রান করেন বাংলাদেশের এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের সেরা পাঁচ বোলার:

নাম

উইকেট

ইনিংস সেরা

ম্যাচ সেরা

গড়

মেহেদী হাসান মিরাজ

১৯

৬/৭৭

১২/১৫৯

১৫.৬৩

সাকিব আল হাসান

১২

৫/৮৫

৭/১৩১

১৮.৪১

বেন স্টোকস

১১

৪/২৬

৬/৪৬

১০.০৯

মইন আলি

১১

৫/৫৭

৬/১১৭

২২.৯০

তাইজুল ইসলাম

৩/৬৫

৪/৮৮

২২.৮৫

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান:

নাম

রান

সর্বোচ্চ

গড়

তামিম ইকবাল

২৩১

১০৪

৫৭.৭৫

ইমরুল কায়েস

১৪৩

৭৮

৩৫.৭৫

বেন স্টোকস

১২৮

৮৫

৩২.০০

জনি বেয়ারস্টো

১২৬

৫২

৩১.৫০

মাহমুদউল্লাহ

১১৫

৪৭

২৮.৭৫